Posts

Showing posts from 2017

কিশোরী ।। বিশ্বাস

বাঁকা ঠোঁট বাঁকা চাহনী - বাঁকা চাঁদের হাসি - বড্ড ভালবাসি রমনী-কেন তোমাকে হতে হয় আবেদনময়ী? কাকে ডাকছো তুমি - ইশারায় অমন করে। কার বুকে চুমু আঁকতে চাও তুমি - কিশোরী ভান করে মান করে - হয় অভিমানী। ক্যামনে বুঝিব তোমায় আজও ন জানি।

কোন এক নারীকে ।। বিশ্বাস

কোন শরীরের কাছাকাছি যাইনি আমি কখনো খুলে দেখা হইনি কোন নারীকে কখনও নাভিমুলের গভীর সমুদ্রে সাঁতার দেয়া হইনি  কেবল মাত্র তোমাকে ছুঁইয়ে দেখতে চেয়েছি তোমার পাশে নিশি যাপন করতে চেয়েছি তোমার ওই চোখের পানে নির্বাক চেয়ে থাকতে চেয়েছি  - ওই কপালে চুমু আঁকতে চাই বলে ওই গৌড় বর্ণের শরীরের ভাঁজে স্পর্শ চাই বলে আজও আমি কোন শরীরের গভীরে যাইনি ।  আমি কখনও কোন খোলা পিঠে হাত বুলাইনি পরম মমত্তে গভীর আলিঙ্গনে লিপ্ত হইনি অন্য কোন প্রত্তিছবি আঁকেনি এই চোখ তুমি ব্যাতিত অন্য কোন রূপমোহে আচ্ছন্ন হইনি কখনও অন্য কারও সময় চাইনি এভাবে যেমনটা তোমার কাছে চেয়েছিলাম । হইত ভুলে গেছ - হইত রোজ নতুন কিছু নিয়ে বাঁচো হয়ত ভুলে জেতে পারো অনাআসে এদিকে সহস্র বেদনা বুকের একপাশে । ভালবাসলে এমনই বোধই হয় - কষ্ট পেতে পেতে এক সময় সুখের সৃত্মিগুলো বিলীন হয়ে যায় দুরত্ব বাড়তে বাড়তে বিভেদে রপান্তর হয় নইলে জন্ম নেয় মানিয়ে চলার মানসিকতা।

জ্বলছি যেদিন থেকে ।। বিশ্বাস

আমি ভালবাসাই বিশ্বাসী ভেবেছিলাম মানুষের প্রতি ভালবাসাই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে নির্বিশেষে ভালবাসতে চেয়েছি জাতহীন নির্ভয়ে ঘুরে ফিরে বেড়িয়েছি জনাকীর্ণ অলিগলি । লোকারন্যের এই শহরে আগে কখনও তোমাকে একা হাঁটতে দেখিনি চেয়েছিলাম এই বদ্ধ শহরটার রাস্তাই একা বীরদর্পে হাঁটবে তুমি মনের মত করে বাঁচবে নাচবে গাইবে ইচ্ছা হলে ঘুরে ফিরবে গহীন অলিগলির শহরে । তোমার সেই সাহস জোগাতেই আজও চলে অভিনয় অনেক ইচ্ছার বলিদান দিয়ে বাঁচে অনেকে এই যেমন আমি আর আগের মত নেই প্রতি মুহূর্তে জ্বালাই জ্বলছি ভালবেসে । এখনও আমার সময়গুলো অযথাই বয়ে যাই এখন আর আগের মত কোন কিছুই করা হয় না আগের মত সময় দিয়ে কোন কাজ হয় না আমাকে দিয়ে মনোযোগ হারিয়ে গেছে সেই দিন থেকে ।

ভ্রান্ত । । বিশ্বাস

১ শিক্ষিত লোকজন গালি দেয় না - মজা করতে দু-একবার উচ্চারন করে বন্ধুদের সামনে অথবা প্রচন্ড রেগে গেলে শব্দাকারে বের হয়ে আসে দু-একবার। নেতাদের পালা কুত্তাগুলো বড় ত্যাদর ধরনের। এদের মুখে গালি ছাড়া আর কিছু আসেনা। ২ কোনো কারনে বা সামান্য ধাক্কা লাগলে  যদি কাওকে সরি না বলে দুঃখিত বলেন  লোকে আপনাকে পাগল ভাববে। ৩ আমি তোমাকে ঘুমের স্বপ্নে দেখিনা কেন জানো! না বললে জানবে কি করে স্বপ্নে দেখলেই আমার দোষ হয়ে যাই আমি নির্লজ্জ হয়ে যাই জ্ঞান-বুদ্ধি-বিবেক-বিচার-বিশ্লেষণ থাকে না আমার থাকে শুধু কামনা-বাসনা-ক্ষুধা-তৃষ্ণা।

ক্যামনতর যাতনা ।। বিশ্বাস

পাখির কিচিরমিচির শব্দে মেতেছে আজকে আমার আধ-পাগলা মন তোমার রুপের মায়ায় রাত কেটেছে ভোর হয়েছে লাগিয়ে বুকে আগুন। বাঁচিবার লড়াই এ ব্যস্ত হেথায় অবিরত দেহের অন্তরে দহন দিন গুনছি একা বসে ভুলের ব্যথায় হৃদয় আঙ্গিনায় অঝরে রক্তক্ষরন। বিষের ব্যথার কাতরতাই কাটাই পাষানীর নেই কোন চেতন অকুল পাথারে ডুব দিয়েছি তাই স্রোতের বেগের তীব্র যাতন। কোন কারনে সইছি এ ব্যথা পাইনা খুঁজে আজও কোন কারন কিসের আশায় থমকে গেছি হেথা আমার খুশির পথগুলো সব বারন।

প্রলাপ বকি ।। বিশ্বাস

অভিনয় দেখতে দেখতে শিখে গেছি নাটক করে বাঁচতে জেনে গেছি এখন বুঝি! ভালবাসতে যোগ্যতা লাগে আস্থা লাগে - লাগেনা মনের চাওয়া তাই শীতল জলে গভীর তলে হয়না আর যাওয়া। যেতে পারি অকূল পাথারে হারিয়ে ফেলতে পারি নিজেকে - ভুলে ভরা জীবনের নিদ্রাগুলো দ্বীধাহীন এরা থাকার স্বত্বেও হাত পাতে খুশির খোঁজে যাচ্ছেনা সমানের পথে। ল্যাঙ মারার ধারনায় আজও বিশ্বাসী এরা আর আমি! সেতো নিতান্তই বোকা পথটা আমার আজও ভীষন ফাঁকা মনে অনেক ময়লা জমে গেছে নীরবে বোঝা হয়ে ওঠেনি - সন্ধান থামবে একদিন সেদিন আমি আর থাকবো না।

একান্তই তোমার ।। বিশ্বাস

তোমার পানে উজানের নাউ ভাসিয়ে হারিয়ে ফেলেছি আমার সখের ভেলা কেবল তুমি হৃদয়পানে চেয়ে ছিলে বলে তুমির পানে ছুটতে গিয়ে লক্ষ্যের পথে হাঁটার গতি শ্লথ হয়ে গেছে আমার তোমার জন্য ভীড় ঠেলে সামনে এগোতে কয়েক শতবার হোঁচট খেতে হয়েছে তোমার নামে গম্ভীর চেতনার অচেনা বিসর্জন তোমার নামে কত কি হয়ে গেছে বর্জন। তবু হয়ত আজও তুমি বোঝোনি কতটা হারিয়েছি নিজেকে ভেঙ্গেচুরে গড়তে চেয়েছি বারবার স্মৃতিগুলো আমাকে কুঁড়ে খায় একই জায়গায় স্থির করে রেখে দেয় আমার ভাবনার দরজাগুলোকে বন্দী করে বাইরে থেকে তালা দিয়ে আটকে রেখেছ ভাবছো আমি বোধহয় সুখেই আছি - আমার সমস্ত স্মরন জুড়ে তোমার জ্বালাতন এভাবে কি ভাল থাকা যাই - বৃথা সময় হারাই ভাল থাকাটা বোধয় ক্ষনিকমাত্র । হয়ত ভাবছো দুর থেকে ভালবেসে ভাল আছি কি করে বুঝবে কতটা যন্ত্রনা একান্তই আমার হয়ত ভাবছো তোমাকে কাছে ডাকার কথাগুলো ভুলে গেছি তোমার স্বরনে বরন করিব শত বিরহের জ্বালা তোমার জন্য মনটা আমার করেছি ভীষন কালা ।

হচ্ছে না । । বিশ্বাস

কোন কিছুই হচ্ছে না বৃথায় আশায় দিন চলে যাই করি কি উপায় এখন কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। না না - কোন কিছুই হচ্ছে না গোলক ধাঁধাঁয় দিন কেটে যাই ঘটছে কি বুঝি না ছাই ধারে যেতে পারছি না। না কিছুই হচ্ছে না যা মুক্ত করে দিলাম তোকে যদি পারিস ভুলে যাস আমার ভোলা হচ্ছে না। না কোন কিছুই হচ্ছে না কি করছি বোধে আমার আসছে না কষ্টগুলো বেড়েই চলেছে ভুলে থাকা যাচ্ছে না।

বিভ্রান্তিতে বাঁচি ।। বিশ্বাস

তোমার প্রতিপত্তির নিকট আমার হার তোমার আভিজাত্যের দাপট করেছে পর তোমার লালস্যের ছলাকলা চলবে কত আর তোমার লুকোচুরি খেলা চলবে কতবার। তোমার রীতি-নীতি থাক একান্তই তোমার কে আমি! আমি তো অতি নগন্য রাস্তার পাশে পড়ে থাকা ভিখারী জীবন আমার চেয়ে খেতে খেতে কাটে যার বেলা পাওনা দারের কষাঘাতে জরাজীর্ন শরীর আমার। আমি আর জ্বলতে চাই না নিভে গেছে সব কামনার দ্বার একা একা থাকলে লোকে পাগল ভাবে ভাবুক - দিন শেষে কে একা নই বলো - এছাড়া একে অন্যের সহায়ক মাত্র আমি তো তোমার কাছে কেবল খেলার পাত্র।

বিষণ্ণতাই বাঁচি ।। বিশ্বাস

এই বেশ ভাল আছি এই বেশ কাছে আসি পরোক্ষনেই দুঃখের ভেলায় ভাসি প্রতিনিয়ত নোংরা হাঁসিখেলায় বাঁচি। শখের ঘড়িটা আমার হারিয়ে গেছে সময়ের হিসেব তেমনটা থাকেনা আর তুমি কি ভাল হিসেব পারো? - তবে জাপটে ধরো তোমার পাশে হাঁটব ভেবে নিতে পারি কাঁধে ভার।

স্ব-ইচ্ছার সীমাবদ্ধতা ।। বিশ্বাস

লাল কালিতে লিখা ছিল এক খন্ড ভুমির নাম উজ্জীবিত হতে গিয়ে দিশা হারিয়ে ফেলে মুছে দিতে চেয়েছিল একদল নির্বোধ কালো কালির আঁচড় এখনো লেগে আছে হারানোর ভয়ে ক্রমাগত দৃড় চিত্তে বাঁচে। বার বার পিছু ফিরে তলিয়ে যেতে চাই বার বার মনুষত্ব্যের বলি উৎরাই যে আজও বোঝেনা মানুষ শব্দের অর্থ তার কোলাহলে আজও মুখর হাট-বাজার পাড়া থেকে গ্রাম জুড়ে চলে নিত্য ভোলানোর কারবার। এখানে যারা স্ব-ইচ্ছায় বাঁচে যারা স্বাধীন চেতনায় বিশ্বাসী তারা নাকি পরিত্যক্ত বোধহীন ভ্রান্ত অযোগ্য জানার জগৎ ক্ষুদ্র হলেই এখানে গ্রহনযোগ্য সীমাবদ্ধতায় চলতে পারলে এখানে পরিশুদ্ধ।

মন চুরি ।। বিশ্বাস

দুটো চোখ বারবার চোখের সামনে ভেসে ওঠে চোখ বন্ধ করলে চোখ - চোখ খুললে চোখ আমার সকল দৃষ্টি জুড়ে কেবলই চোখ আর তুমি এত সুন্দর চোখ আগে আমি দেখিনি। তোমাকে চাই -কেবলই তোমাকে চাই যদি পাই - সবকিছু ছেড়ে দিতে রাজি আছি সবকিছু ভুলে যেতে পারি মিছে মিছি। ঘোমটা ছেড়ে বাঁধন খুলে - দুঃখ ভুলে যদি আসো - যদি বলো কোন রাজ্যের রাজা হে তুমি কোথায়-বা বাড়ি তোমার কোন সাগরের ইলিশ তুমি কোথায়-বা গড়ো তোমার সুখের ঘর । যদি বলো পাশে আছি সবকিছু ভুলে যেতে রাজি আছি তোমার মত করে বাঁচি - যদি বলো। মনটা চুরি হয়ে গেছে আমার সেদিন ।

কি এক বন্ধনে ।। বিশ্বাস

আধো ঘুম বাঁকা চুম ঘোরে ঘুরে এই দেহ-মন কাছে আসতে চেয়ে ফাঁকি দিলে লাগালে বুকে এ কোন আগুন। ভাল যদি নাই বাসতে পারো কেন এসেছিলে কাছে ফের যদি নাই আসতে পারো কেন মজে ছিলে চোখের ভাঁজে। কি এক অদ্ভুত মায়ার বন্ধনে রেখে গেলে আমায় চঞ্চলতায় আর অস্থিরতায় আজও বৃথায় দিন গড়ায়। তোমার জন্য এনে দিতে পারি মিথ্যে কথার ঝুড়ি মস্ত বাধা উৎরাতে পারি মেরে মেরে তুড়ি। মিথ্যার সাথে চলতে চলতে শিখেছি মিথ্যা বলা কথায় কথায় মিথ্যা নিয়ে অহরহই এ পথচলা।

যদি পারিস ।। বিশ্বাস

তোকে ভাবতেই বৃথা সময় চলে যায় কিছুই করা হচ্ছে না আমাকে দিয়ে না পড়তেও পারছিনা আর আগের মত কোন কাজই করতে পারছিনা ঠিক মত কি যে করি বুঝে উঠতে পারছিনা। সারাটা দিন চলে যাই তোকে ভাবতে না! ঠিক মত ঘুমুতেও পারছিনা কোন কিছুই হচ্ছে না ঠিকমত আজকাল আমার সাথে কি কি ঘটে যাচ্ছে বুঝে উঠতে পারছিনা -কেন এমন হলোরে। যেখানেই যাসনা কেন ফিরতে হবে স্মৃতির ভীড়ে। দুঃখিত - বলায় না একটু ভুল ছিল বাজে কিছুতো বলিনি তোর কাছে নতুন করে শিখতে চেয়েছিলাম কি করে ভালবাসতে হয়। তোর কাছে যাওয়ার সাহস হারিয়ে ফেলেছি পারিস যদি কাছে আসিস - ভালবাসিস।

আমি ভাল নেই ।। বিশ্বাস

কাছে এসে না দেখলে বুঝবে না কতটা যন্ত্রনায় অতিবাহিত হয় আমার বেলা চারিদিকে দেখি একে অন্যের অবহেলা দুঃখগুলো ভুলে যাওয়ার চেষ্টায় আছি তুমি কাছে এলে একটু বাঁচি। কত কথা নিজের মধ্যেই থেকে যাই কত বিপথ পথের দিশায় হারিয়ে যাই নিয়মের গন্ডি পেরোতে কতবার পা পিছলাই কতবার দীর্ঘশ্বাস বুকে নিয়ে নির্ঘুম জেগে কাটাই। আজোও কাটে আমার বন্দী জীবন বাঁচবো কবে মনের মতন কবে তুমি বুঝবে এই আমাকে কাছে এসে বসবে পাশে ভালবেসে। ভালবাসার রং চেনাতে করো আজও ভীষন রকম পাগলামি তোমার চেয়ে এই পাথারে কে আছে আর দামি কাছে আসলে পরে জানবে - কেমন আছি আমি!

দাওয়াত তোমাকে রাই ।। বিশ্বাস

আলোহীনতায় বসবাস - আমাকে মুঠো ভর্তি আলো দেবে রাই অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছি বারংবার - অগোছালো জীবনে আলো হতে পারো অথবা অন্ধকার ঘিরে মোম জালাবে দাওয়াত রইলো এসো একবার ।  উসখুসে বদন আমার - তেল সাবান লাগেনা খুব বেশি ক্ষুধার্ত পেট আমার - দেবে কিছু শুকনো লঙ্কা-পেঁয়াজ-রসুন সৃজন বিলের খালের কিছু টাকি মাছ পুঁটি-শিং-মলা-ঢেলা হলেও চলবে - অথবা জেলের হাতের টাটকা নদীর মাছ। রাঁধতে তেমন একটা ভাল পারিনা তবু না হয় এসো একদিন - দাওয়াত রইল সঙ্গে কিন্তু নিয়ে এসো সব নইলে সবকিছুই ভেস্তে যাবে - পন্ড হবে এসো কিন্তু - মনের মাধুরী মিশিয়ে রেঁধে খাওয়াব তোমাকে। আটা চিনি ঘরেই রাখি তেলের পিঠা আমার ভীষন প্রিয় তুমি এলে - বানাবো দুজন মিলে দাওয়াত রইলো এসো কিন্তু।

লজ্জার বন্দী ।। বিশ্বাস

চার দেয়ালে বন্দী - আকাশ দেখা মানা- পুরুষ নামক প্রাণীগুলো সব দিচ্ছে সেথা হানা চোখের এক কোনে জল বৃষ্টিধারা হয়ে ঝরে চলেছে অবিরল কেন রে? প্রসারিত হাতে বুক ফুলিয়ে শ্বাস নিতে ইচ্ছা করেনা তোর? বলি কি - ঝুলুক তকমা লাগুক দাগ বেশ্যা যারা বলে তোকে -আসছে ওদের পৌষ-মাঘ কি! পারবিনা - ঘুঁচাতে হবে তোকেই লজ্জার বাঘ।

অজুহাত ।। বিশ্বাস

অন্ধ দর্শন বন্ধ মন রেখেছে বন্ধক ঘরের কোন তোকে দিয়ে আমার কিছুই হবেনা তুই বরং - মিথ্যা আশার প্রলাপ গোন। পুরা কির্তীর শেষে রইবে কি সধবার বেশে সম্মুখে তোর অঢেল অজুহাত খ্যালে তুই বরং - মুক্ত কর বাঁধন গুচ্ছ এলোকেশে।

খন্ড চিত্র ।। বিশ্বাস

ভন্ডমীর খন্ড চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে নোংরামীর দৃশ্যপট দেখতে গিয়ে আমি সেদিন কয়েদী বনে গিয়েছিলাম মশা মেরে মেরে কাটে রাত হতে ভোর নির্ঘুম। কোন কিছু করতে পারছিনা মন মত হৃৎপিন্ডটা থানায় জমা রেখে এসেছি গতকাল তখন থেকে আমি অন্ধ হয়ে যাচ্ছি - হারিয়ে যাচ্ছি ভিক্ষা ব্যবসার বেড়াজালে। কালে কালে বেড়ে গজিয়ে উঠেছে অনেক আগাছা কিছু আছে জীবনভর পরগাছা হয়েই বাঁচে কিছু আবার আলোহীন থাকে-বাঁচে-নাচে এরা কারনে অকারনে দাপট দেখাতে তৎপর হয়। নির্বোধের দল উদ্ভট দাবি নিয়ে হাজির আর আপনারা নীরবে সমর্থন দিয়ে চলেছেন ধ্বংশের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন কিনা বোধে কি আসেনা - আপনার আমার আমাদের সকলের।

পাঠক ।। কবি বিশ্বাস (বাপ)

কেউ কি করে জানবে বড় বেশি পাঠক প্রেমিক বরাবর আমায় - জন্মক্ষনেই ছুয়েছে হৃদয় নয়ন নন্দিত রূপ প্রচ্ছদ সমস্ত অববয় জুরে কি এক লাবন্যয়তা ছড়ায় ফুরফুরে সুগন্ধ সুবাস যা বড় বেশি কাছে টানে ওদুড়ায় পাঠক হৃদয় নির্ভয়ে নির্ভিক পথচলা বড় অসাম্প্রদায়িক নোংরামী শূন্য শব্দমালা গনতন্ত্রী এক মুক্ত কন্ঠস্বর আমি তাই বড় বেশি প্রমিক প্রবর এখন ষোড়স্বী তুমি কবে জন্মেছিলে। আটাত্তরে। চোরানব্বয়ে এসে পূর্ন যৌবনা অনন্ত যৌবনা হয়ে ধরে রাখ এ যৌবন সত ন্যায় আর গনতন্ত্রের পতাকা - উড়াতে থাক বাংলার আকাশে আজীবন অর তোমার জরায়ু থেকে বেরিয়ে আসুক শক্তশত মনিষি অনন্ত কাল- যারা পথ দেবে দিশা দিবে আগামী প্রজন্মের শিল্প সাহিত্য অর্থনীতি বিজ্ঞান দর্শন রাজনীতির নেতৃত্ব দিয়ে সুখ তাসে সুস্থ স্বাস্থ্য দেবে বাংলার। এখন যেমন আমি অনন্তকাল জুটবে পাঠক প্রেমিক সেই তুমি এই থাকো যদি।

ভুলে ভরা জীবন ।। বিশ্বাস

অভিনয় দেখতে দেখতে শিখে গেছি নাটক করে বাঁচতে জেনে গেছি এখন বুঝি! ভালবাসতে যোগ্যতা লাগে আস্থা লাগে - লাগেনা মনের চাওয়া তাই শীতল জলে গভীর তলে হয়না আর যাওয়া। যেতে পারি অকূল পাথারে হারিয়ে ফেলতে পারি নিজেকে - ভুলে ভরা জীবনের নিদ্রাগুলো দ্বীধাহীন এরা থাকার স্বত্বেও হাত পাতে খুশির খোঁজে যাচ্ছেনা সমানের পথে। ল্যাঙ মারার ধারনায় আজও বিশ্বাসী এরা আর আমি! সেতো নিতান্তই বোকা পথটা আমার আজও ভীষন ফাঁকা মনে অনেক ময়লা জমে গেছে নীরবে বোঝা হয়ে ওঠেনি - সন্ধান থামবে একদিন সেদিন আমি আর থাকবো না।

মা ।। বিশ্বাস

দেশ মাটি আমার মা - যন্ত্রনার মুক্তিতে উৎরাবে যত বাধা একদিন থেমে যাবে ঝড় সেদিন বুঝবে সবাই কে আপন কে পর। বড় ভালবাসি তোর মলিন মুখের হাঁসি ভালবাসি প্রাণ খোলা হাঁসি কতোটা ধোঁয়া উড়লে মেঘহীন হবে তোর আকাশ খেলবে পাড়ার ছেলেরা মুক্ত মাঠে মন আনন্দে গাইবে গায়েন গলা ছেড়ে নাচবে বালিকা মুক্ত মঞ্চে প্রেমিক যুগল চুটিয়ে প্রেম করবে আনমনে কতোটা রক্তের ঝান্ডা উড়লে কতোটা স্রোতের বন্যা ভাসলে - কত কত আর কত! ভালবাসি ভীষন ভালবাসি মাকে দেশ মাটি আমার মা।

জলে যাক ।। বিশ্বাস

জলে যাক তোর সকল বাসোনা জলে যাক চেতনার প্রহরী জলে ডুবে গিয়ে কাতরাক সব জলে ডুবে মরি মরি। জলে যাক সব জলে যাক রাজহাঁস সব বকে খাক তোর কি তাতে? গুনীজনে কয় মাঠে ঘাটে। ভেবে দেখি - দেখে দেখে হয়ে যায় পথহারা পাখি।

জানি না কে তুমি ।। বিশ্বাস

কে তুমি জানি না, জানতেও ভয় হয় শুধু দুর হতে চেয়ে চেয়ে দেখেছি তোমার কথা ভেবে ভেবে অর্ধচন্দ্র খেয়েছি। আমার সবকিছুতেই অদৃশ্য একটা দেয়াল খাড়া হয়ে যায় আমি যা কিছু খুঁজে বেড়িয়েছি যা কিছু চেয়েছি - সব কিছুই হয়ে গেছে কোথা পাই কোথা পাই।  দারে দারে ঘুরে ফিরে আমি আজ রড় ক্লান্ত কিভাবে বলতে হয় সেইটাই হয়ত ভুলে গেছি কি করে জানতে হয় সেইটায় হয়ত সবার থেকে আলাদা। হয়ত আমি বোকা-সোকা মানুষ - কথাগুলো সহজ করে বলে ফেলি মনের মধ্যে যা আসে বলে ফেলি হয়ত আমি তোমাদের মত নই হয়ত আমি যা কিছু নই - সহজ করে কই হয়ত আমাকে আলাদা করে দেয়া হয়। কে তুমি জানি না, জানতেও ভয় হয় শুধু দুর হতে নির্বোধের মত চেয়ে চেয়ে দেখেছি জানতে চেয়েছি - সাহস হয়নি।

ভুলে যাই ।। বিশ্বাস

আমি ভুলে যাই তুমি কখনো আমার ছিলেনা আমি ভুলে যাই তুমি কখনো আমার হবেনা আমি ভুলে যাই কেতা দুরস্থ অবস্থা যার - ভালবাসা পাওয়ার আশা তার চলেনা।  সব কিছুই তো ঠিকঠাকই ছিল শেষ মুহুর্তে এ কি করলে তুমি? তোমাকে নিয়ে যা কিছু ভাবলাম তার সবটাই পন্ড করে দিলে। আমি ভুলে যাই চোখের সামনে দন্ডায়মান অদৃশ্য এক দেয়াল ভেদ করেছে সে যার চিত্ত কবিয়াল যার চাঁদ আর তারা দেখে রাত পেরোয় ভুলে যাই ভোর।

প্রেম ।। বিশ্বাস

আমার অনেক গুলো কথা আছে তোমাকে বলার বলবও ভেবেছিলাম - হয়ে ওঠেনি অতি অল্পেই যাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়েও পড়েছিলে চলেও গিয়েছিলে। চলে গেলে এভাবে একা ফেলে - পারলে তুমি এভাবে চলে যেতে আর কিছুক্ষন কি থেকে যেতে পারতে না আমি না-হয় তোমার কাছে যেতে ভয় পাই পাছে যদি কিছু বলো তাই - তুমি কি বোঝো না - নাকি বুঝতে চাওনা। হাবা গোবার মত চেয়ে থাকি - কেবলই তোমার অপেক্ষায় দিন গুনে চলেছি আমি বারবার ফিরে ফিরে দেখি কেনো তুমি কি বোঝো না! - নাকি বুঝতে চাওনা - কবে বুঝবে তুমি - কবে ভাসবো প্রেমে তুমি আর আমি।

রাণী তুমি ।। বিশ্বাস

তুমি প্রাচুর্যের রাণী - তুমি বড্ড অভিমানী রাজপ্রাসাদের অতন্ত্রপ্রহরী হয়ে দাঁড়িয়ে আছি তোমার প্রতীক্ষায়। চেয়ে দেখো চক্ষু মেলে - দুটো চোখ কি রকম যেন করুন দৃষ্টিতে চেয়ে আছে তোমার পানে শুনে দেখো - হৃদয়ের কোনে  টিক টিক শব্দে শুনবে আমার নাম ভাবনা জুড়ে কেবল আমাকেই খুঁজে পাবে। আমিই কি তোমার সকল পন্ড হওয়া অভিমান যদি তাই হয় তবে তো কাছে এসে শাঁসিয়ে যেতে পারো জ্বালা মেটাতে পারো ভয় নেই - আমি আনন্দে আত্নহারা হয়ে যাবো দেখো।

ভাল যখন বেশেছি ।। বিশ্বাস

আমি চাই তুমি এমনই থাকো তুমি তোমার মত করে বাঁচো ভাল যখন বেসেছি - বেসে যাব কাছে আসো বা না আসো। যদি তুমি বদলে যাও নিজের কাছে হারিয়ে দাও আমাকে সেদিনও বলব ভালবাসি - বলি কি - ভাল যখন বেশেছি - বেসে যাব কাছে আসো বা না আসো। এ মন যদি ভেঙ্গে যাই যদি বা সে আর ফিরে না চাই ক্ষতি নেই - ভাল যখন বেশেছি - বেসে যাব।

তোমার জন্য একটি কবিতা ।। বিশ্বাস

কেউ কখনো আমাকে এসে বলেনি - আমার একটা কবিতা লাগবে - আমার ছন্দ যুক্ত কটা লাইন লাগবে - যার প্রতিটি অক্ষরবৃত্ত মাত্রাবৃত্ত জুড়ে কেবল আমি থাকব। কেউ বলেনি আমি তোমার কবিতা হবো তুমি এসেছিলে - তোমার এক পলক দৃষ্টি যেন সঙ্গম সুখ সুতরাং আমি তোমার কাছে হেরে গেছি আমার চোখ অন্ধ হয়ে গেছে। শহরের অলি গলি ঘুরে ফিরে প্রতিদিন যে পথে হাঁটি এ পথ পথিকহীন। যাত্রা পথ নির্ধারিত হয়ে গেছে - তোমাকে ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারছিনা আর কত লুকোচুরি খেলবে আমার সাথে আমার কিচ্ছু লাগবে না - শুধু মাঝে মধ্যে এভাবেই কাছে এসো -এভাবেই ভালবেসো ।

পাথরের বুকে ।। বিশ্বাস

শত বছরের শত কোলাহল শেষে শত লক্ষ আলোকবর্ষ পেরিয়ে সেদিন পৌঁছে যাবে সন্ধানে - মুক্তি মিলবে কিনা সেদিন সেই দুর্ভাবনায় তবু পথিক পথ চলেছে নব জীবনের জয়গানে। মৃত পাথরের বুকে প্রাণের সাড়া জাগাতে পারলে সে বেলা ঈশ্বরের সাথে - বিরক্তি ভরে কিছু উত্তর জানার ছিল । যদিও নেই - সকল উপাশনালয় - মন্দির, মসজিদ, গীর্জা, প্যাগোডা বহুল শহর-গ্রাম। বিমর্ষ হয়ে যাত্রাপথে অতিবাহিত সে বেলা - বাস্তবিক পটে একবিংশ শতাব্দীতে আধুনিক শব্দটা নামে মাত্র মানষিকভাবে সংকীর্ন - ওরা সে পথে হাঁটে। যখন দেখি - মানষিকভাবে বিভ্রান্ত হওয়া আরেকটা পথ খুলে ফেলা হল কিছু সংকীর্ন চিন্তার মানুষের তীব্র বিষের ছোবলে কে বলে - তুমি মুক্তস্বাধীন মানুষের ক্রন্দলে।

মুক্ত ডানা ।। বিশ্বাস

গন আন্দোলন গড়ে তুলবে বলে মিছিলের ডাক দেয় - কারা ওরা? ওরা কি এই শহরেই থাকে - ঘুরে ফেরে ঘিঞ্চি গলির বাঁকে। সত্য-মিথ্যার দন্দ চিরকালের - মিথ্যার শোরগোল বরাবরই বেশি উদ্ভট আচরনে আজকাল কেউ করেনা হাঁসাহাঁসি আন্দোলন যদি সত্যপথে হয় কেবল তবেই হবে ভালবাসাবাসি - এই সরল সমীকরনটানা কারো বোধে আসেনা গন্ডি পেরিয়ে ডানা মেলে মুক্ত মনে ভাসেনা। মানুষে মানুষে বিভেদ কেন? কেন কেউ কারো নয়, কেন একা চলতে হয়! কেউ কি বলতে পারো? বিমুখ হয়ে ভ্রান্ত পথে চলতে পারো শুধু পারোনা বদলে যেতে বদলে দিতে। হাজার বছরের সোনাদিঘীর পাড়ে গড়তে গড়তে বসতভিটা গত হয় চরাচরে।

আমাকেও প্রভু মনে করে ।। বিশ্বাস

আমি একজনকেই বলেছি - অনেকের সাথেই টলেছি ঢলেছি - যদি বল আমি কি পারি তুমি কি পার প্রশ্ন থেকে যায় আমরা কি প্রতিনিয়ত অভিনয় করে চলছি না প্রতিনিয়ত মিথ্যা বলছি না নিজের মত করে বানিয়ে বলছি না বলছি তো নাকি - জানতে আপত্তি কেন এত তোমার এত ঠুনকো কেন তোমার অনুভুতি অতি অল্প হাওয়ায় নড়ে ওঠে খুঁটি। আমাকে থামিয়ে দিতে চাই -থামবো না আমি - কেন থামবো - উদ্দেশ্য কি তোমার? বন্দী জীবন -গন্ডির মধ্যে বিচরন! বিশ্ব দরবারে তাকিয়ে দেখ - সুখী কে নিজেকে প্রস্ফুটিত করতে ব্যাস্ত কে কোন পথে হাঁটছ তুমি? জীবন মুখী চিন্তা কি করো আমাকে কেন থামাতে চাও -উদ্দেশ্য কি তোমার সুবিধা গ্রহন- ক্ষমতার লোভ -নিয়ন্ত্রন! গতকাল বেয়নেট দ্যাখাবে বলেছিল রাইফেল হাতে-কাঁধে তরবারী নিয়ে অপেক্ষা করেছে দুর থেকে কতোক্ষন দেখেছি - নির্বোধ পার্থক্য বোঝেনা পেছনে কতোগুলো মস্তিষ্কহীন প্রাণী - হুকুমের গোলাম - গো-গ্রাসে গিলছে হুকুম। আমাকেও প্রভু মনে করে।

চৌকস ।। বিশ্বাস

ওরা চৌকস ওরা দুরন্ত জয়ের নেষার মত্ত ওরা গড়তে বিভব অনিন্দ ভাঙতে শেকল বদ্ধ ঘরে দ্বার খুলে দাও ওদের তরে। ওরা চৌকস ওরা দুরন্ত সকল বাধা ছিন্ন করে হাসতে হাঁসি জয়ের তরে চিত্ত ওদের বাহুর পরে নেষায় পেয়েছে হৃদয় জুড়ে ভাঙবে শেকল বদ্ধ ঘরে। ওরা চৌকস ওরা দুরন্ত জালাতে আলো পরের তরে ক্ষুদ্র তব নিজের ঘরে আগুন জালাও বুকের পরে হানবে আঘাত বন্ধ দ্বারে।

এত এত তারপর ।। বিশ্বাস

তারপর-- তারপর সারাটা বিকেল গড়িয়ে গেল তারপর দীর্ঘ আড়াই মিনিট চুম্বন শেষে তারপর ধানক্ষেত কলের ঘর তারপর নগ্ন বদন - আঁকিবুকির লীলাখেলা তারপর আঁচল পেতে বসেছিলে তারপর একটা উপাধি -বেশ্যা তারপর আত্নহননের ব্যর্থ চেষ্টা তারপর নিরুদ্দেশ যাত্রা তারপর একজন জালাল তারপর আরেকটা বিকেল লম্পট্যে তারপর লোকালয় থেকে লোকালয়ে বয়ে চলল ধারা তারপর -- এভাবে আর কত তারপর হলে তুমি ক্ষান্ত হবে এভাবে আর কত তারপর হলে নড়েচড়ে উঠবে তারপর নতুন সুর্য ভোরের আলো আর কত তারপর হলে জাগবে তুমি!

কলম ।। বিশ্বাস

একটা কলম একটা সাদা পৃষ্ঠা - কয়েকটা শব্দ বহুক্কাল যাবৎ হারতে হয়েছে হেরেও জিতে গ্যাছে সক্রেটিস - একটা কলম প্লেটো - কলম এরিস্টটল - কলম আর্কিমিডিস - কলম নিউটন - কলম আইনস্টাইন - কলম হকিংস - কলম রবীন্দ্রনাথ - কলম নজরুল - কলম আজাদ - কলম কবি - কলম এমন শত শত কলম পৃথিবীর বুকে অথচ বর্তমানের কাছে হার আছে তবু সময় কি ভুলে গেছে? মনে রেখেছে, রাখবেও নিশ্চয়।

বীজ ।। বিশ্বাস

নিন্দিত অনিন্দিতার নন্দিত আবাসভূমে একটা গাছ লাগাবো আমি একটা বটগাছ - ছাতার ন্যায় চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে যার ডালপালা বাদুড়ের সমাগমে গুনঞ্জন মুখর ছলাকলা। একটা বীজ চাই আমার - মনুষত্ব্য ঝড় বাদল জ্বলোচ্ছাস এমন কি কনকনে শীতেও আঁকড়ে বাঁচব যার প্রসারিত হাত। একটা চারা গাছ চাই আমার - তিলে তিলে হয়ে উঠবে জরাগ্রস্থ ধরনীর রক্ষা-কবজ দূষনহীন অক্সিজেন ছড়াবে বাতাসে গড়ে তুলবে শ্রান্ত পরিশুদ্ধ মগজ ।

যাযাবর ছাব্বিশ ।। বিশ্বাস

বাজার দর বেশ ভালই - সীজন চলছে এখানে - এই ভদ্র পল্লীতে সমাগম মুখর খদ্দের পদচারনায় - অলিতে গলিতে । এই শহরে আমি এক যাযাবর ঘরহীনা - আমাকে ঘিরেই নাকি তোমার যত সমস্যা কেন? আমি তোমার মত ভন্ড পথে চলি না - তোমার মত ভন্ড কথা বলিনা - তাই। তবে জেনে রাখো - এই শহরে আমি অন্য কিছু করতে এসেছি এই শহরে আমি একজনের স্বপ্ন পুরনে এসেছি।  একধাপ এগোতে দুই ধাপ পিছিয়ে পড়ি স্বপ্নের পিছু নিতে ক্লান্ত ভীষন পেট পুজারী তবু কি হেরে যাবে নব জীবনের কান্ডারী তুচ্ছ হই বার বার যত বিবেকের খুঁটি নাড়ি। চোখে দ্যাখে এক আর কানে শোনে অন্য শোনা কথায় সঠিক ভেবে সবাই এখন ধন্য গাল গল্প এই সমাজে হয়েছে নিত্য পন্য সত্য সঠিক তাই আজকাল বিভ্রান্ত বলে গন্য। ছাব্বিশ সংকটে জরাজীর্ন মস্তিষ্ক একাকীত্বে পরিপুর্ন নিজের কাছে নিজেই অপদার্থ বলে গন্য আর তোমরা মিথ্যা আশার প্রলাপ নিয়ে ধন্য।

রেখে যাও ।। বিশ্বাস

তুমি কি বরাবরের মত অপেক্ষমান রয়ে যাবে? তুমি কি পৃথিবীর বুক থেকে চিরতরে হারায়ে যেতে চাবে? অনেক প্রতিকূলতার মাঝে টিকে থাকায় ব্যস্ত তোমার প্রাণ হারিয়ে যেতে যেতে যদি পারো রেখে যাও অবদান আড়ম্বর পৃথিবীর চরাচরে - কেউ স্মৃতিচারন না করুক নিশানা তোমার ঠিকই রবে - এমন কেউ নেই যে মুছে দিতে পারে কোন একদিন হয়ত হয়ে উঠবে অম্লান যদি পারো রেখে যাও অবদান - মানুষের তরে।

বিষাদ ।। বিশ্বাস

তুমি কি আমার পাশে এসে বসবে দুটো মিষ্টি মিষ্টি কথা বলবে - বিষাদও বলতে পারো - ঢলে ঢলে গোলতে পারো। সিগারেটটা উল্টো দিকে ধরিয়ে ফেলেছি অযথা কটা টাকা নষ্ট হয়ে গেল তুমি থাকলে কত কথার মাঝে ঠিক করে দিতে নিশ্চয়। আমি বিষাদ লিখি - বেদনার গান গেয়ে যাই এবেলা ওবেলা হৃদয় জুড়ে বসত করে সে - চরন ভূমে বিচরন তার - খেলে যাই মন এ কোন খেলা।

প্রতিচ্ছবি ।। বিশ্বাস

সমস্ত বিভ্রান্ত পথ - হারিয়ে খুজবে মনোরথ - একদিন হয়ত অজানা শব্দটা হারিয়ে যেতে চাবে কোন এক অজানা কারনে অজানা গন্তব্যে - অজানা চেতনা- পাড়ি জমাবে মন মন্দিরে - ভিড় ঠেলে দেখবে এখানে বিশ্বাসের ঠাঁই নেই পুরোনো কে আকড়ে ধরে রাখতে নেই। অবিশ্বাস - সে তো মূল্যহীন এখানে, অসম্ভব। ব্যাস্ত নগর জীবন - সচরাচর ঘড়ির কাঁটা টিক টিক শব্দে ঘুরছে পার করতে সহস্র কোটি বছর। তবু কি ভুলে যাবে - জেতে হয় জানি তবু কি ফিরে দেখবে- ফিরবে না জানি তবু ভালবাসতে শিখবে মাতাল প্রেমিক।

তোমাতে বিভোর ।। বিশ্বাস

দ্যাখা না দিলেই পারতে দ্যাখা দিয়ে কোথায় হারিয়ে গেলে তুমি অজস্রবার ভেবেছি - অজস্রবার তোমার প্রেমে পড়েছি - অজস্রবার চেয়েছি - দেখবোনা ওরম ফ্যালফ্যাল চোখের দৃষ্টিতে ভিজবোনা দেবীময়ী ও চোখের বৃষ্টিতে।  তবু কি পারি! বসে আছি প্রতীক্ষায় - এ যেন ফুরাবার নয় রাতের আকাশে চোখ মেলেছি আমি একা- শরীর জুড়ে কম্পন - চারিদিকটা একদম ফাঁকা জোছনা জুড়ে লেগে আছে মোহ - চাঁদের গায়ে তোমার জলছবি আঁকা। এত কিছুর মাঝেও কয়েকটা শব্দে বিচরন তুমি -তুমি তুমিতুমি করে এই মন জানি নাতো কবে-কোথায়-কিভাবে-হবে তোমার সাথে আমার আলাপন। তোমাতেই বিভোর -সন্ধ্যা গড়িয়ে ভোর।

আমিই কেবল পারিনি ।। বিশ্বাস

কি করে বলি কতোটা ভালবাসি - কি করে বলি কতোটা চাই আমি তোকে মনের আড়াল হলে পরে পড়ে যাই বিপাকে। হয়ত তোর মত যন্ত্রনা কাতর যাপন করি না হয়ত তুই আধো ঘুমে বাঁচিস - আমি কেবল পারিনা। ঐ - এক বেলা আমার সম্বল কতো দিন চলে গ্যাছে অনাহারে ঐ মাত্র একটা বিস্কুট আর দূকাপ চা হলেই দিনটা মোর বেশ যায় রাতে দূপ্লেট ভাত জুটে যাই ঠিকই এ দোকানে বাকী ও দোকানে বাকী হতে হতে ওদের চোখে তাকাতে বড্ড বেশি ভয় পায়। সেদিন স্লোগান ভাগাভাগি হতে দেখে প্রতিবাদে মুখর হতে চেয়েছে অনেকে - আমিই কেবল পারিনি । দুমুঠো চাল যোগাতে যে হিমসিম খাই সেও কটা টাকা পেলে বদলে যায় বদলে যাই স্লোগান উচ্চারিত শব্দ - গুনোগান ভুলে যাই নিজের অক্ষমতা বিচারবোধের স্বাধীনতা আমিই কেবল পারিনি ভুলে যেতে।

সম্মেলন ।। বিশ্বাস

চাঁদেরহাটে মেলা বসেছে - বাহারী আলোর ঝলকানি প্রভাত হলে সব কিছু পন্ড হবে জানি তবু রাতভর নগ্ন নৃত্যে মাতাল হতে হতে একটা মুখোশের সন্ধানে কতগুলো বিচ্ছেদ ঘটে গেল । হলুদ-লাল-কালো জলরং আঁকা মুখোশ যারা পেয়েছে তারা নিজেকে প্রভাবশালী দাবি করে যারা পাইনি তারাও করে পরোয়া না করেই চলতে থাকে জীবনযাত্রা নিজের প্রয়োজনে হারিয়েও ফেলতে পারে মাত্রা।

শ্যাম বর্নের মেয়ে ।। বিশ্বাস

শ্যাম বর্নের মেয়ে গো তুমি গৌড় বর্নের রং হাওয়া উদাস বিকেলের হালকা আলোয় উঠানের নাউ গো মাঝি- পারের তরী বাওয়া। যখন অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকি হঠাৎ চেয়ে চোখ ফিরিয়ে নাও যখন বুকের ভেতর কিনা জানিনা- কোথায় যেন একটা চিনচিনে ব্যাথার অনুভব। কেউ কেউ বেচে ফিরছে মিথ্যা কলোরব কেউ আবার বসে বসে গুনে চলেছে- বন্ধ মনের অন্ধ যত জীবন্ত শব। বিদ্রোহীর প্রার্থনা অর্থবহ হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ভদ্র মহাদয় সমাজে সৈনিক কেন আসেনা কোন কাজে? তোমার উন্মাদ বিচরন বড়ই ভাল লাগে প্রশ্ন উঠেছে কে বলবে আগে সৃষ্টির বৃষ্টিতে ভিজতে গিয়ে হবেনা প্রাণ খুলে গাওয়া - ভুলে থাকা চাই তোমায় কাছে পাওয়া।

অভাগী ।। বিশ্বাস

কত শত বেদনা বিধুর কেটে যাই লগন নীরবে নিভৃতে তোমাতে থাকিবো মগন হৃদয়হীনা হয়ে - অভাগী আমি করিব যাপন বেদনা বিধুর এই শরীরী জীবন। মন পড়ে আছে অন্যখানে - শরীর তোমাকে দিলাম মনে কি আসে যাই - তোমার তো কেবল শরীর চাই পারিপার্শ্বিক চাপে সেই কবেই তো দেহখানা মোর হয়ে গেছে নিলাম। তোমার চোখে দেখেছি আমার সর্বনাশ দিন পেরিয়ে বছর পেরিয়ে মাস। এ পথেই বার বার হাঁটি পথটা আমার চেনা তবু ক্ষনে ক্ষনে অচেনা লাগে।

বাবু বলিলেন ।। বিশ্বাস

ঢপ মারা বন্ধ কর- ঘুমিয়ে ঘুমিয়েই কাটিয়ে দিতে চাও এ কেমন চাওয়া তোমার? ঢেড় হয়েছে আর কত! নিজেকে কি মনে কর হে তুমি এত ভাব চোদাও কেনো - পার্টটা একটু কম নিলে কি হয় কি মনে কর হে নিজেকে - বলি বাবু - মুক্ষসুক্ষ মানুষ আমি -কি যে কন না- আমাগো আবার ভাব থাকা চলে নাকি - হেহে হেহে। দাঁত ক্যালানো কি বন্ধ হবে না তোমার অন্ধকার কি ঘুচবে না নাকি চাওনা সভ্য হতে।

সান্ধ্যকালীন ।। বিশ্বাস

ক্ষনিক দিনের আলোকে - ক্ষুধাতুর পলকে সান্ধ্যকালীন আড্ডায় বসে চুমুক দিতে দিতে বললেন - তাকানো দেখে নিজেকে ভীষন অযোগ্য লাগে মন পড়ে থাকে অতৃপ্ততার মাঘে। অপরাধ কি আমার জানলাম না অথচ শাস্তি পেতে হবে এ কোন ধরনের কথা তাহলে কি বলব না এ আপনার স্বার্থের প্রগলভতা। কি অপরাধ আমার!! আমার রক্ত কথা বলে জোনাক হাতড়ে হাতড়ে পথ চলে। কিছুক্ষন নীরবতা। তারপর হঠাৎ উচ্চ স্বরে বলেই উঠে পড়লেন - তুমি যদি পারো - আমি কেন পারবো না তুমি যদি হারো - আমিও কি হারবো না।

অনাকাঙ্খিত অতঃপর ।। বিশ্বাস

দুর্বোধ্য! ভীষন দুর্বোধ্য - চিন্তার মৃত্যু, অযাচিত চেতনা। ঘুম ভাংবে কবে রে তোর? কবে আলোকিত করবি এই ধরিত্রী? পরাজিত গোবর গণেশ কোথাকার !  সপ্নের পিছু ছুটতে ব্যস্ত তোর পথ - কয়েকটা কাগজ পারে না আলোকবর্তিকা হতে। জীর্নতা ঝেড়ে ফ্যাল! - কি? চাস না আলোর পথের যাত্রী হতে। অতঃপর - একটি চেতনা হারিয়ে গেল সময়ের স্রোতগর্ভে আশার তরী দুলে ওঠে প্রকম্পনে অশরীরী হাত।