Posts

Showing posts from November, 2018

এ আমার হার

তুমি হেরে গেছো - এ হার তোমার নারীত্বের এ হার তোমার স্বাধীন সত্বার এ হার নিজেকে ছোট করার। হেরে গেছি আমিও - কেননা তোমার জিৎ চেয়েছিলাম আমি। চেয়েছিলাম প্রকাশ্যে ভালবাসার কথা ব্যক্ত করবে তুমি চেয়েছিলাম অদম্য সাহসিকতায় হাঁটবে তুমি চেয়েছিলাম প্রান খুলে গাইবে তুমি আরও চেয়েছিলাম নিজেকে মানুষ বলবে তুমি। তুমি বোঝনি আমার চোখের ভাষা বোঝনি তুমি ছিলে আমার অথৈই জলের কুল তুমি একা হারোনি - হারিয়েছো আমাকেও।

নির্বাধে মত্ত বোকা

প্রগতির চিন্তা বাদ দিয়ে বরং বোকা থাকো ঘন্টায় ঘন্টায় এর ওর কথামত উঠ-বোস করো তাহলেই তুমি গ্রহনযোগ্যতা পাবে নইলে তোমাকে ডাষ্টবিনে ছুড়ে ফেলা হবে। এই যখন সমাজের রীতি তখন নিজেকে পাগল ছাড়া আর কিছু মনে হয়না জ্বালা-পোড়নের মাঝে বাঁচি আমি ফুসফুসে বোধয় পচন ধরেছে জরাগ্রস্থ এই শরীর কবে যে থেমে যাই সময়ের সাথে অসময়ের পথে ঘোরে - আমার সমস্ত জাগরনী সত্তা কলি হয়ে ফুটবে ধরনীর বুকে ভেবে জয়ের নেষায় নির্বাধে মত্ত সে।

এক নির্বোধ

জংধরা অলি-গলির এই শহরে আমি এক নির্বোধ যে ভুল খুঁজে বেড়ায় যা কিছু দেখি - প্রশ্ন দাঁড়িয়ে যাই মনে। একবার এক বস্তিতে আগুন দেখে মনে হয়েছিল - এটা খুঁটে খাওয়া মানুষের জীবন নিয়ে খেলা বৈ কিছু নয় তিন তলায় ছিলাম তখন - অকাজে কাটত সময় অভ্যেস গুলো অনেকটা বদলে গেছে না খেয়ে সারাটা দিন ঘুমিয়ে কাটাই দু-বেলা গড়িয়ে গেছে। গভীর রাতে ছাদে বসে থাকা হয়না অনেকদিন আকাশের নানা রং দেখিনা - কি সব উদ্ভট চিন্তা নিয়েই গড়িয়ে যাই বেলা তবু তোমার স্মৃতিগুলো সরছেনা মন থেকে।

ক্ষুধা

এ দেখি এলাহী কারবার - ঘন্টায় ঘন্টায় বদলায় এ হাতে ও হাতে বিষে বিষাক্ত হয়ে উঠেছে ধারা ক্ষমতার লড়ায়ে বিষ বানাই - চলে জীবন খেলা। কিছু জীবন ক্ষুধার্ত থাকে - দাবার চাল হয়ে জীবনভর। খেয়ে না খেয়ে বেলা গড়িয়ে যাই উদ্ভ্রান্তের মত হাঁটতে থাকি এদিক সেদিক। এদের জীবনখেলা দেখে দেখে আমি ক্লান্ত - ক্ষান্ত - উগ্র - রাগান্বিত হই তবু কিছু দগ্ধ রং দেখা বাকী রয়ে গেছে। অসহায় অক্ষম পঙ্গু হয়ে বাঁচে কিছু জাল বিষের টাকা নিয়ে ওরা ফুর্তি করে। প্লেটটা হারিয়ে গেছে - চুরি হয়ে গেছে একটু ফাটা ছিল - ওতেই চলে আমার। পকেটে টাকাহীন ক্ষুধার্ত পেটে ঘুরে বেড়ানো কি যে যন্ত্রনাদায়ক তা কেবল ক্ষুধার্তই জানে। অথচ ক্ষুধা নিয়েও ব্যবসা চলে এখানে অথচ কিছু মাটির জন্য ক্ষুধার্তই থাকে এরা সোঁদা-মাটির গন্ধ খুব ভালবাসে।

পাগল

লাশের বোঝা বয়ে বেড়াতে বেড়াত সে পাগল। তিলে তিলে মরতে হয়েছে ভাইকে লাশটা পর্যন্ত দেখার সৌভাগ্য হয়নি গভীর রাতে একদিন গিয়েছিল ভায়ের কাছে কতোনা আদর যত্নে রেখেছিল সোনামুখটা এখন আর নেই - হারিয়ে গেছে অসহ্য যন্ত্রনা নিয়ে ঘুমিয়ে আছে মাটিতে বাবাকে ভায়ের পাশে দাফন করেছে নিজ হাতে ছেলেটা এখন ঘোরে-ফিরে পাগলের বেশে।

চিন্তামগ্ন

এতটাই চিন্তামগ্ন থাকি সর্বক্ষন এতটাই বিষন্ন সারাক্ষন সবটাই তোমাকে ঘিরে - স্মৃতির জুড়ে। কার সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় ভুলে যাই প্রতিনিয়ত নতুন কিছু খুঁজি - নতুন কিছু বুঝি। ব্যবসার বেড়াজালে রক্তাক্ত হয় শরীর খুন হতে হয় বৃদ্ধ বাবাকে। ভিক্ষা এখানে ব্যবসা হয়ে দাড়িয়েছে কেউ রাস্তায় - কেউ প্রাচুর্য গড়ে তুলেছে। আমার সকল অনুসন্ধান - সমস্ত সত্তায় কিছু বিভ্রান্তি খুঁজে পায় প্রতিক্ষনে।

একজন শিক্ষক

যিনি খুন হয়েছেন - যিনি ঠোঁটের কোনে মুচকি হাঁসি এঁকে গিয়েছেন তিনি একজন পিতা একজন কবি - একজন মানুষ একজন বনমালী একজন জাগ্রত জাতি স্বত্তা যিনি উন্নয়ন চেয়েছিলেন শিক্ষার প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছেন লাইব্রেরী স্কুল কলেজ খেলার মাঠ - নাটকের মঞ্চ সংস্কৃতির ধারা অব্যাহত রাখতে চেয়েছিলেন যিনি সকলকে এক সঙ্গে নিয়ে বেঁচেছিলেন জাত-ভেদহীন মিশে ছিলেন সকল সম্প্রদায়ে যিনি একজন চাষী - একজন কৃষক গায়ক - শিক্ষক - সর্বোপরি একজন মানুষ যিনি পঙ্গু হয়েছিলেন শত্রুর হাতে এই সমাজ যাকে খুন করেছে শেষে তিনি আমার শিক্ষক।

দেখেছিস এসব কখনো

শহরের অলিতে গলিতে তোকে নিয়ে ঘুরব ঘুরবি আমার সাথে - কখনো রিক্সায় কখনো-বা পায়ে হেঁটে যাবি আমার সাথে - দুর্গত জীবনগুলোকে দেখতে কতোটা অসহায় হয়ে বাঁচে ওরা ময়লা-আবর্জনার পাশে শুয়ে থাকে কোনমতে খেয়ে - না খেয়ে বাঁচে রেলনাইনের ঐই বস্তিগুলো দেখেছিস পার্কের পাশে পড়ে থাকা মানুষগুলোকে দেখেছিস অসহায় বৃদ্ধ পঙ্গু ভিক্ষারত জীবন দেখেছিস ডাস্টবিনে খাবার খোঁজা পাগলটাকে দেখেছিস ওভারব্রিজের নিচে ঘুমিয়ে থাকা শিশু দেখেছিস কটা পয়সার জন্য শরীর বিক্রি হতে দেখেছিস ডোবার নোংরা জলে মাততে দেখেছিস বস্তির ছেলেপেলেদের দল বেঁধে মনে হয়না এসব কখনো দেখেছিস তুই আজো বুঝিনি কি করে তোর হৃদয়টাকে ছুই।

সমস্যা

শেকড় গজিয়ে এত গভীরে চলেছে বুঝিনি আগে - ওরা সব মিথ্যার পিছে ভাগে কিছু মুকস্থ কথা বারবার বলতে থাকে আলোহীন ঘরে বন্দী করে রাখে সুর্যের আলো এদের ভাল লাগেনা দু-চার কথায় ব্যস্ত - জানতে অনীহা না বুঝেই উত্তর দিতে দিতে যাই অস্ত।  সবকিছুতেই সমস্যা খুঁজে বেড়ায় গানে সমস্যা - নাচে সমস্যা পোশাক-পরিচ্ছদে সমস্যা চিত্র-কর্মে সমস্যা - কলায় সমস্যা রোদ্রের আলো গায়ে মাখতে সমস্যা উঠতে সমস্যা - বসতে সমস্যা উদ্ভট যত মানসিকতা নিয়ে বাঁচে কবে! কবে এদের জানার আগ্রহ হবে।

নিউরনে তুমি

বারবার তোমার কাছেই ফিরে আসি সহস্রবার স্বপ্নে জাগরনে তোমাকেই ভালবাসি অথচ তুমি বোঝনা নাকি না বোঝার ভান করো! তুমি কি চাও আমি চলে যাই সবকিছু ভুলে নিজেকে হারাই না দেখে থাকতে পারি - কাটিয়ে দিতে পারি অজস্র রজনী ভুলে যাওয়া যাবেনা কোনদিন। আমার সমস্ত নিউরনে তোমার বিচরন সমস্ত কাজ থেমে যাই তোমার নামে আজকাল ঘুমায়তেও পারিনা ঠিক মত এভাবে এত যন্ত্রনায় আর কাটবে কত। প্রতিনিয়ত মিথ্যার আন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছি হারিয়ে যাচ্ছে আমার সততার ভীত আমাকে, আমার নিষ্ঠাকে বলিদান দিয়েছি তোমার নামে তবু তুমি বুঝলেনা - কবে এ যাত্রা থামে।

ধুয়ে মুছে যাক

জয়-পরাজয়ের খেলায় তুমি মত্ত হেরেছি জিতেছি আশার আসে অথচ আজও জানিনা তোমার শর্ত। চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে দুর্গন্ধ ধীরে ধীরে পথগুলো ছোট হয়ে আসছে সজীব সুবাসে উজ্জীবিত হোক ধারা ধুয়ে মুছে যাক ধরনীর যত জরা। মাকড়াশার জালের মত গজিয়ে উঠেছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে চারিদিকে বুলেট সেদিন আমি একটা কুড়িয়ে ছিলাম সোনালী রঙের ছুঁচালো ক্ষুদ্র ছিল মাথা। প্রতিনিয়ত শিখছি নতুন করে সময়ে অসময়ে দেখেছি ভেঙে-চুড়ে গড়ে শুধু মাত্র তোমাকে কাছে পেতে চাই বলে।

ব্যর্থ ছেলে

ছেলেটা হারিয়ে গিয়ে - সবকিছু ভুলে গিয়ে জনাকীর্ন পথে পা ফেলে ধাপে ধাপে এগোচ্ছে থেকে থেকেই বাধা পায় চারিপাশ হতে পেছন থেকে বলে ওঠে - এবার আর তোকে কেউ বাঁচাতে পারবে না প্রচন্ড হাসি পায় ভেতরের অন্তর - যে মৃত্যুকে ভয় পায়  সেতো প্রতিনিয়ত প্রতিক্ষনে প্রতিমুহুর্তে মরে বারবার হাজারবার মরে।  বুকের সমস্ত জ্বালা যন্ত্রনা ঝেড়ে ফেলে ধাপে ধাপ ফেলে এগিয়ে চলেছে ব্যর্থ গুটি গুটি পায়ে - মুক্তো হয়ে এগিয়ে চলাই যেন তার অন্তিম স্বার্থ।

আজও হয়ে ওঠেনি

কত কথা আজও রয়ে গেছে বাকী তুমি হারিয়ে গেছো - কোন কারনে দিলে মোরে ফাঁকি এখনো তোমায় বারবার পিছু ফিরে ডাকি। রয়ে গেছে বাকী তোমায় চেনা তুমি থাকো কোথায় - কোথায় তোমার বাড়ী আজও আমার হয়ে ওঠেনি জানা সবকিছুই থমকে গেছে - চারিপাশ করছে মানা। বাকী আছে চাবির দেখা পাওয়া জীবনের জয়োরথে তোমার সাথে গান গাওয়া তুমি কাছে নেই বলে তোমাকে ঘিরে আমার সকল যাতনা। কতো কথা রয়ে গেছে - কতোটা জানা রয়ে গেছে বাকী বলে তোমার সন্ধানে হয়নি আমার থামা ।

বরাবর রাষ্ট্র

দেশের সমস্ত সৃষ্টিশীল চেতনাকে ধ্বংশ কর ধ্বংশ করতে চাও পুরাকির্তী - হারিয়ে গেছে জাহাজ-বাড়ী তলিয়ে যাক অন্ধকার মোহের গহ্বরে তাতে তোমার কি? তুমিতো লাভ-ক্ষতির অংক কষো মিছেমিছি কেন এই ধ্বংশের খেলা যে ধ্বংশের পক্ষে কথা বলে যে তার জন্মের উদ্দেশ্য ভুলে তাকে স্বার্থান্নেষী ছাড়া আর কি বলা যাই গন্ডির কাছে বাহবা পাচ্ছো - ভালো কথা কিন্তু উপায়টা কি ভিন্ন হতে পারতো না কোন পথে এগোচ্ছে ভেবে দেখছো না কতোটা পিছনে ফিরে গেলে তুমি ক্ষান্ত হবে আর কতোটা বোকা হলে থেমে যাবে।

মনে পড়ে

মনে পড়ে সেই রাতের কথা সেদিনের সেই কালো মেঘে মেঘে দ্বন্দ ধুলো উড়িয়ে ঝড় বাদলে তীব্র বজ্রপাত দৌড়ে গিয়ে কুঁড়ে ঘরের তলে কোনমতে দাঁড়িয়ে আশ্রয় - একটু ঠাঁই । মনে পড়ে সেই বিকেলের কথা আনমনে গেয়ে গান ভাঙিয়ে ছিলে নীরবতা মন আনন্দে ভাসিয়ে ছিলে সুপ্ত ব্যথা খোলা মনে হেঁটেছিল ওপথ ধরে - গলির মোড়ে দাঁড়িয়ে একা। মনে পড়ে সেই দিপ্রহরের কথা রোদের মাঝে বসেছিলে নয়নে নয়ন মিলিয়ে চেয়েছিলে ছুটে এসেছিলে দুর-দুরান্ত পেরিয়ে - যদি চলে যায় - আর যদি না পায় দেখা। মনে পড়ে সেই আলো ফোটা সকালের কথা কিশোরী রুপে দাঁড়িয়ে ছিলে তুমি আর আমি চেয়েছিলাম দগ্ধ রুপমোহে ইশারায় বার বার কাছে আসতে চেয়েছিলে - ব্যথা ভুলিয়ে ছিলে।

অক্লান্ত তরুন

ফাঁকা পকেটে রাস্তায় হেঁটে চলেছে তেজদ্বীপ্ত তরুন তাকে পৌঁছাতে হবে তার কাঙ্খিত গন্তব্যে রাস্তার পাশের নোংরা ময়লা গন্ধের মধ্যে থেকে শব্দ ভেসে আসে " একটু কাগজ দিবেন " যুবক থমকে গিয়ে দেয়াল থেকে কিছু লাল-সবুজ পোস্টার ছিড়ে দেয় কাগজের টুকরাগুলো হাতে নিয়েই বলতে থাকে - চারিদিকে ময়লা - সারা শরীরে ময়লা দেশটা একেবারে নোংরামীতে ভরে গেছে যুবক হাঁটা ধরে - ক্ষুধার্ত পেট তার তবু মনে জোর নিয়ে অক্লান্ত ছুটে চলেছে কিছুটা পথ পেরিয়ে দেখে - এখানেও কিছু রাজ্যহীন রাজকুমার দেখে কিছুটা স্বস্তি মেলে মনে আরও কিছুটা পথ বাঁকি - তাকে পৌঁছাতে হবে মায়ের কাছে তাকে নর্দমার কোলাহল সরিয়ে পৌঁছাতে হবে প্রেমের কাছে হতে হবে কালজয়ী ভালবাসার তেজদ্বীপ্ত তরুন।

পরোয়া করি না

আমি রনাঙ্গন থেকে ফিরে এসেছি আমি মৃত্যুকে বুকের বাম পাশে রেখে ঘুরে বেড়িয়েছি আমি বুলেট দেখেছি ভাইয়ের রক্ত মেখেছি আমি আলো-আঁধারে নিস্তব্ধ দন্দে মগ্ন থেকেছি। আমি নিজেকে নিজেই বার বার পড়ে দেখি - পড়তে থাকি অনবরত আমি আমাতে মগ্ন থাকি অবিরত আমি ছুড়ে ফেলেছি বদ্ধ পুরোনো ক্ষত আমি কেবলই আমার মত। আর কত ভয় দেখাবিরে তুই আর কত ভন্ড সেজে হৃদয়টাকে ছুই তুই কি জানিস না তোর কল্পনার জগৎকে!! ভয়কে আমি পরোয়া করি না।

তোমার কিছু যাই আসেনা

ভালবাসা সব পড়ে থাক দিনগুলো সব বৃথা যাক তাতে তোমার কোন যাই আসেনা কেননা আপন ভুবন গড়ায় মত্ত তুমি আর আমি ভুলে ভরা জীবনের তলায় তলিয়ে যাই। মন ভেঙে চুর্ণ-বিচুর্ণ হয়ে যাক পাষাণ হৃদয় পুড়ে ছাই হোক তাতে তোমার মনে দাগ কাটে না কেননা আভিযাত্যের-প্রাচুর্যের রাণী তুমি আর আমি কৃষকের ছেলে পাড়া গাঁয়ে জন্ম আমার। রাতের গায়ে চোখ মেলে দেখি আকশের তারা গুলো মিটিমিটি জ্বলছে সহস্রবার ভালবাসতে বলছে তবু হৃদয় জ্বলে যাক - ক্ষত বিক্ষত হোক তাতে তোমার কোন কিছুতেই যাই আসেনা কেননা তুমি তোমাকে নিয়েই ব্যস্ত।

লড়াই আর কতকাল

যতটা দেখে বেঁকে এঁকে বেড়ায় তার চেয়ে অধিক অন্ধকারে ছেয়ে আছে পবিত্রতার নামে নোংরামীর লীলাখেলা নিয়মের নামে - রীতি নীতির নামে ভদ্র মহাদয়গনের অপকর্মে তলিয়ে যাওয়া ভ্রষ্ঠ পথে নেমে গিয়ে পাপ-পুণ্যের বিচার করা দান পাত্রের ছায়াতলে ঠাঁই খোঁজা অল্প কথায় ব্যস্ত থেকে বিভ্রান্তির সৃষ্ট করা শোনা কথা শোনা গল্প নিজের মত করে বানিয়ে বলা এরা সৃষ্টশীলতার পথে বাধা দিতে ব্যস্ত হয় কল্পনার জগৎকে আঁকড়ে ধরে বসে থাকে নতুন কে জানতে - গ্রহন করতে নারাজ। কবে বুঝবে - প্রতিটি শব্দ মানুষের কন্ঠনালী থেকে প্রতিটি গ্রন্থ মানুষের অন্ত থেকে প্রতিটি শিল্প মানুষের মনের রং থেকে শব্দের ভাষার উচ্চারন ভিন্ন হতে পারে দেহের গঠন ভিন্ন হতে পারে গায়ের রং ভিন্ন হতে পারে চিন্তা ধারা ভিন্ন হতে পারে আকৃতি কিন্তু একই - তবু একে অন্যকে ছোট করতে ব্যস্ত সবাই নিজেকে শ্রেয় বলতে ব্যস্ত ভেদাভেদ তৈরিতে মত্ত একে অন্যকে আঘাত করে - হেয় করে বলি কি থাকুন না বাবু নিজেরটা নিয়ে হেঁটেই দেখুন না হয় পায়ে পা মিলিয়ে পক্ষপাতিত্ব ভুলে গিয়ে অস্ত্র ফেলে দিয়ে - বন্ধু হয়ে আপনাদের এই ক্ষমতার লড়াই আর কতকাল চলবে।

প্রথম দেখি যেদিন

সেই প্রথম যেদিন তোমায় দেখেছিলাম সেদিন তোমার অস্ফুট চোখের চাহনী তোমার অপলক বাঁকা চোখের তাকিয়ে থাকা ভাঙা চেয়ারটায় পায়ে পা তুলে বসে থাকা কোন এক অজানা কারনের অপেক্ষা আমাকে তোমার প্রেমে পড়তে বাধ্য করেছিল আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম তোমার পানে এক পলক চেয়ে আমার সমস্ত সত্বা বলে উঠেছিল তোমার থেকে সুন্দর রুপে প্রকৃতির আর কাউকে সাজতে দেখেনি সেই থেকে আমি তোমার প্রেমে সেই থেকে প্রতিনিয়ত প্রতিক্ষনে নতুন ভাবে পড়ে মনে।