Posts

Showing posts from October, 2018

কাউকে তো দেখিনা ।। বিশ্বাস

অনেকগুলো প্রশ্ন মনে ঘুরে ফিরে তুমি কি কাছে এসে বলে যাবে কি করব আমি - কোথায় গেলে কার কাছে গেলে মিলবে সন্ধান তোমাকে ছাড়া আর তো কাউকে দেখিনা অর্থাভাবে খেয়ে না খেয়ে দিন যাই পাওনাদারের কষাঘাতে জর্জরিত হৃদয় পড়ালেখাটা আর বুঝি হল না এত কিছু করি তবু আমি বেকার পাগলের বেশে থেমে গেছে সকল দ্বার কোথায় যাব আমি - কি করব? তুমি কি কাছে এসে বলে যাবে তোমাকে ছাড়া কাউকে তো দেখিনা আর।

যা কিছু চাই ।। বিশ্বাস

অনবরত শব্দ জুড়ি শব্দের সাথে - কি বলছি কি করছি - কতোটা জমেছে ক্ষত আমি কেবল শুনে যাই - ভুলে হারাই এদিকে যে যার মত বলতে ব্যস্ত জেনেছে যতটুকু তার চেয়ে বেশি বলে বেশি জানার ভাব-ধারা এদের বেশ রপ্ত আমি চুপচাপ দেখে যাই - ভুলগুলো খুঁজে বেড়াই - শুদ্ধ-অশুদ্ধের দ্বন্দে হারাই - জানার আগ্রহ বাড়াতে গান গাই - টুকরো আলোর দীশা চাই পরিবর্তন চাইতে গিয়ে অপরাধী বনে ছিলাম সেদিন আমাকে খাঁচায় বন্দী করা হয়েছিল আমার হৃদপিন্ডটা ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল আর ফিরে পাইনি - পাবো কি না জানিনা তবু আমি গেয়ে যাব মনুষের তরে গান তবু আমি হারিয়ে যেতে চাবো তোমাদের তরে থাকব মগ্ন দিয়ে যেতে সজীব নতুন প্রান আমার সকল ভাবনা চেতনা জুড়ে তোমাদের মুক্তির আওভান।

তবু এলে না ।। বিশ্বাস

যন্ত্রনার চাদরে মোড়া শরীর আমার যা কিছু আছে কিংবা নেই সহস্র কাল রবে একান্তই তোমার তুমি ভুলে যেতে পারো - আমি ভুলিনি স্বপ্নে ঘুমে জাগরনে তাড়া করে হারিয়ে যাওয়া সেই দিনগুলোর কিছু মুহুর্ত যার পুরোটা জুড়ে ছিল তোমার আনন্দ কেতন নির্বাদ ওপথে লোকারন্যে সমাগম আমি ভুলিনি প্রিয় স্মৃতি বিজড়িত সেই দিনগুলো আমার মত কে আছে এমন হতভাগা শত বেদনার মালা গেঁথে রেখেছি তোমাকে শোনাবো বলে আমি একাধারে বলতেই থাকব তুমি শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে উঠে চলে যেতে চাবে ঘুমিয়ে যাবে পাশ ফিরে আমার কথা কেড়ে নিতে ব্যস্ত হবে  তবু তুমি এলে না ।

স্বপ্ন সাজাও ।। বিশ্বাস

স্বপ্ন নিয়েই জেগে আছো গড়েছো স্বপ্নের এক বাসা আমাকে আর কি প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে তোমার ভালবাসা। তুমি পাখির মত উড়াল দাও ডানা মেলে সাজাও - মনে রেখো - গড়তে ভুলেছো দুঃখের স্মৃতি খানি তোমার সুখেই স্বপ্ন আমার জানি। মুক্তির ছোঁয়া লাগাও প্রানে মন ভরে যাক ব্যাথার গানে তবু তুমি ফিরবে না লক্ষ্য ছেড়ে তাদের কাছে নত নয় নিতে চায় যারা কেড়ে।

পরিচয় ।। বিশ্বাস

আমার প্রথম পরিচয় আমি বাঙ্গালী জন্মেছি আমি বাংলা মায়ের কোলে আমার দ্বিতীয় তৃতীয় সমস্ত পরিচয় আমি মানুষ বড় হয়েছি কিছু মানুষের ছোঁয়া পেয়ে যারা আমাকে কখনো ভেদাভেদ শেখায়নি যারা আমাকে স্বাধীন ফেরায় খুব বেশি বাধা দেয়নি।

আমি বন্দী ।। বিশ্বাস

মন মেজাজ খারাপ হলেই হাঁটি আমি একা জনসমুদ্রে পা দুটো যখন হাঁপিয়ে ওঠে ক্লান্ত হয়ে যখন ফিরি ঘরে - চিরাচরিত যন্ত্রনার ভাগাড়ে এক বুক আর্তনাদ জমে নীরবে ভেতরটা অতৃপ্ত থাকে কতোক্ষন।  বিকারগ্রস্থ চরিত সমাজের ভীতি উদ্ভট যত নিয়মের রীতি আমাকে বন্দী করে রাখা হয় আমাকে কারনে অকারনে জ্বালায় আমিতো কিছু বলছি না আপনাদের তবে কেন এই জ্বালাতন কেন এই অবরুদ্ধ আচরন। বেশি কিছুতো চাইনি তোমাদের কাছে ভয়হীন ঘুরে ফিরতে চেয়েছি আমি কি বন্দীই রয়ে যাব কেন এই বন্দী দশা নিজের ইচ্ছায় যেখানে চলা দায় সেখানে ঘিরে থাকে অঠেল হতাশা।

দেখেছো কি গাঁয়ের জীবন ।। বিশ্বাস

দ্বিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠে চৈত্রের দুপুরে তপ্ত রোদে গায়ের তৈলাক্ত ঘাম ঝরিয়ে যারা ফসল ফলায় যারা তোমার জন্য গড়ে তাদের জন্য তুমি কোথায়। দেখেছি খাঁখাঁ করা ফসলহীন মাঠ জলহীন কর্দমাক্ত পুকুর অল্প গাছের ছায়ায় হাঁপিয়ে ওঠা চাষী নদীর জলে খর রোদে জেলে মাছ ধরায় ব্যস্ত জীবিকার তাগিদায় আরও দেখেছি ফসলের মাঠে জ্বলের কলে - জলরাশির ধারার তলে দুটি পাখির মুক্ত বিচরন - প্রেম আলিঙ্গন। তুমি বোধ হয় এসব দ্যাখোনি - দ্যাখোনি কি করে বেঁচে আছে কোনমতে পেট পুরে।

খোলা চিঠি ।। বিশ্বাস

প্রিয়, ভীষন ভালবাসি তোমাকে। কতটা ভালবাসা যাই, কিভাবে হৃদয়ের ডাকে সাড়া পাওয়া যাই জানা নেই। কি করলে - কিভাবে জানালে তাকে ভালবাসা বলে সেটাও জানিনা, কোনদিন জানা হবে কিনা সেটা নিয়েও সন্ধিহান। আমার সকাল দুপুর সন্ধ্যা রাত সমস্ত জুড়ে তোমার স্মৃতির বিচরন। বারবার হৃদয় পটে ভাসে তোমার ঐ চকিত চাহনীর দুটো চোখ জুড়ে সমস্ত অববয়। আমার মস্তিষ্কের প্রতিটি কোষের পরতে পরতে তোমাকে ঘিরেই আলোড়ন ওঠে। যতবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছি ততই গভীরভাবে ভালবেসেছি তোমাকে। আমি আর পারছি না দুরত্বের এই অসীম জালা কাঁধে বয়ে বেড়াতে। আমার দৃষ্টি জুড়ে কেবল তোমার বসবাস। যেদিকে তাকাই যেদিকে যাই তোমাকেই খুঁজি। তুমি কি ফিরবে না আমার যন্ত্রনা কাতর শহরে। বড্ড ভালবাসি-রে তোকে কি করে বোঝায় - দিন যাই অসুখে। ইতি বিশ্বাস

বিষ বেদনার জ্বালা ।। বিশ্বাস

দীপ্রহরের রোদে হাঁটি আমি একা দিন গুনে চলি তুমি আসবে বলে মায়ের আঁচল তলে মিশে গেছে কিছুটা আঁধার কিছুটা রয়ে গেছে তবু দ্রোহের শরীর অবোধের মত আচরন করে এরা ওদের আচরন এমন - মনে হয় ভ্রান্ত আমি কি চেয়েছি - নিজের মত করে বাঁচতে চেয়েছি কি পেয়েছি - শুধু অবজ্ঞা ছাড়া!  আমার স্বপ্নের কিছুটা হারিয়ে গেছে ঝরে পড়েছে অবেলায় অকালে তোমার জন্য সাধের বলিদান অনাআসে তবুও আজও তুমি দুরেই রয়ে গেলে - আর আমার শরীর মন সয়ে চলেছে তীব্র বিষ বেদনার জ্বালা আমি নিতান্তই সাধারন হতে গিয়ে তোমার পানে অপলক চেয়ে থেকেছি দুর থেকে কথা কয়েছি - বোঝ কিনা জানা হয়নি। কাছে আসতে গিয়ে হোঁচট খেয়েছি আবার নিজেকে সামলে দাঁড়িয়েছি তবু ঘুরে ফিরে সেই একই কষ্ট না পাওয়ার জ্বালাটা দাউ দাউ জ্বলে হারিয়ে গেছে আমার রাতের ঘুম অপেক্ষায় থাকি ঐ কপোলে দিব চুম তবু তুমি এলে না আমার কাছে বললে না ভালবাসি আজও তোমায়।

ভ্রান্ত এই সমাজে ।। বিশ্বাস

কাকে ভ্রান্ত বলছেন - কাকে উগ্র বলছেন! যে অন্যের হাতের পুতুল যে মৃত্যুর দ্বার প্রান্ত থেকে ফিরে এসেছে এক বুক সাহস নিয়ে - ভালবাসা নিয়ে - যে চাইনি নিরীহ কারো ক্ষতি হোক যে আদর্শের লড়ায়ে নিজেকে বলি দেয় মুহুর্তে যে অনেক শব্দ চাপা স্বরে লুকিয়ে রাখে যার বুকটা প্রতি ক্ষনে ক্ষনে চিরে যাই যার অন্তরে অতৃপ্ত জ্বালা ধরিয়ে দেয় যার সময় গুলো বৃথা আক্ষেপে ফেটে পড়ে যে চেয়েছে পরিবর্তন - যে পুরোনোকে ভেঙে নতুন করে গড়তে চেয়েছে যে দ্বিধাহীন পথে পথে ঘুরে বেড়িয়েছে যে ক্ষুধার পেটে দুমুঠো ভাত দিতে চেয়েছে যে এক বুক হাহাকার নিয়ে বেঁচে আছে আজও যার তীব্র বেদনার জ্বালা সেই জানে কতটা অতিকায় ক্ষুদ্র জীবন।

দু-চারটে লাইন ।। বিশ্বাস

তোমার মত আমিও সেদিন হারিয়ে ছিলাম অজানা গহীন বনে এখন অত কিছু আর পড়েনা তেমন মনে। ভালবেসে হারিয়ে গেছে লজ্জা আমার আমি এখন তোমার কাছে নিতান্তই এক কামার যারা লোহাকে আগুনে পুড়িয়ে পিটিয়ে অস্ত্র বানায়। জানার জন্যে আগ্রহ থেকেই যাচ্ছে সারাটা দিন চলে যাই না পড়ে - না বুঝে কোন কিছুই করা হচ্ছে না আমাকে দিয়ে এই দু-চারটে লাইন লিখা ছাড়া। ছাদের গাছটায় জুড়ে বসেছে একটা কাক ডানা ঝাপটায় - হঠাৎ উড়ে গেল অনবরত ঝরঝর ঝরছে জলের ধারা মেঘেদের গর্জন থেমে গেছে গুনগুন শব্দে গান ধরেছে ঢেলে দিতে। ভিজছে শহর শীতল জলে শীতল হবে ধারা - মন আমার তোমাতে বিভোর তোমাতে হারিয়ে হয়েছে ছন্দহারা।

কটা চরন তোমার নামে ।। বিশ্বাস

আর কতদিন চলবে তোমার ছলনা কত দিন আমি বেদনার বৃষ্টি জলে ভিজব কত শত হাহাকার নিয়ে বেলা গড়ায়। মেঘেদের গর্জন বিকেলের আকাশে ফোঁটা ফোটা জল ঝরে উঠানের পরে। জানালার ফাঁকে বাড়ি খেয়ে লেগেছে গায়ে কিছু খোলা আকাশের নিচে বৃষ্টি জলে ভিজব বলে সেই কবে থেকে ছুটছি তোমার পিছু। তোমার নামে রক্ত ঝড়ে পাজর ফাটে অস্ফুট চোখের ধুর্ততা দিয়েছিলে নির্বাক তাকিয়ে থাকার শক্তি দিয়েছিলে নিয়েছিলে হৃদয়ের বটমূলে মুক্তির ছায়া। আমি সেই দেখে আরো গভীরভাবে তোমার প্রেমে পড়েছি - ভেঙে গড়েছি।

একদিন বুঝবে ।। বিশ্বাস

ধুর ছাই - তুমি নাই - তাতে কি? এক বুক ভালবাসা নিয়ে বেঁচে আছি এক বুক হাহাকার নিয়ে কাটে অযথা সময় জেনে গেছি - জীবনটা আর আমার নাই তাতে কি? আমি না হয় অন্যের হাতের পুতুল হোক সব আমার ভুল আমি নিশ্চুপ থাকতে চেয়েও পারিনা নিউরনগুলো ভীষন পীড়া দেয় উত্তেজিত করে ফেলি নিজেকে লুকিয়ে বাঁচতে চেয়েও হয়ে ওঠেনা বারবার অযৌক্তিক কথার বেড়াজালে নিয়মের বেড়াজালে শেকল পরাতে উদগ্রীব চারিপাশ ঘৃনা করছে - ধিক্কার দিচ্ছে দিক - কোন একদিন হয়তো বুঝবে সেদিন হেরে যাবে তোমাদের শত লাঞ্চনা সেদিন আমার সমুদ্রে ভাসবে - লোনাজলে অদ্ভুত এক সাধে সাধবে।

প্রলাপ 3 । । বিশ্বাস

মহাকালের অভিযাত্রী হয়ে ঘুরে পথে - কতকাল ছুটতে হবে জানা হতে এখনো বাকী যে যার মত বলছে - বাকীর নাম ফাঁকি যারা বলছে তারাই আবার ফাঁকি দিতে মত্ত। আজীবন ফাঁকি দিয়ে যাদের কাটে তারাই অন্যকে শেখাতে আসে। একই ঘ্যান ঘ্যানানির বচন - জানতে অনীহার নির্বোধের দল ছোট ছোট বাচ্চাদের হাতে ক্ষুরধার তুলে দিতে দ্বিধাবোধ করেনা নিজেদের আচরনও সেই বাচ্চাদের মতই।

ছুটছি তোমার পিছু ।। বিশ্বাস

কিছু স্মৃতি কখনোই মুছে যাবার নয় তোমার নির্বাধ বিচরন - তোমার চঞ্চল আচরন তোমার বাঁকা চোখের অস্ফুট আঁখি চোখের সামনে ভেসে উঠলে প্রচন্ড পীড়া দেয় হৃদয় আঙিনায়। আমি ভুলতে চেয়েও পারিনা ভুলে যেতে তোমার স্মৃতি বিজড়িত সেই দিনগুলো কোথায় আছো - কেমন আছো জানিনা কখনো জানা হয়ে ওঠেনি তোমাকে অথচ তোমার পেছনেই ছুটছি দূর হতে। এ যেন থামার নয় - এ যেন আমার নয় - আমার সমস্ত চিন্তা চেতনা ধ্যান-ধারনায় কেবল তোমার স্মৃতির আনাগোনা এভাবেই কি কাটবে জীবন আনমনা।