Posts

Showing posts from February, 2017

মুক্ত ডানা ।। বিশ্বাস

গন আন্দোলন গড়ে তুলবে বলে মিছিলের ডাক দেয় - কারা ওরা? ওরা কি এই শহরেই থাকে - ঘুরে ফেরে ঘিঞ্চি গলির বাঁকে। সত্য-মিথ্যার দন্দ চিরকালের - মিথ্যার শোরগোল বরাবরই বেশি উদ্ভট আচরনে আজকাল কেউ করেনা হাঁসাহাঁসি আন্দোলন যদি সত্যপথে হয় কেবল তবেই হবে ভালবাসাবাসি - এই সরল সমীকরনটানা কারো বোধে আসেনা গন্ডি পেরিয়ে ডানা মেলে মুক্ত মনে ভাসেনা। মানুষে মানুষে বিভেদ কেন? কেন কেউ কারো নয়, কেন একা চলতে হয়! কেউ কি বলতে পারো? বিমুখ হয়ে ভ্রান্ত পথে চলতে পারো শুধু পারোনা বদলে যেতে বদলে দিতে। হাজার বছরের সোনাদিঘীর পাড়ে গড়তে গড়তে বসতভিটা গত হয় চরাচরে।

আমাকেও প্রভু মনে করে ।। বিশ্বাস

আমি একজনকেই বলেছি - অনেকের সাথেই টলেছি ঢলেছি - যদি বল আমি কি পারি তুমি কি পার প্রশ্ন থেকে যায় আমরা কি প্রতিনিয়ত অভিনয় করে চলছি না প্রতিনিয়ত মিথ্যা বলছি না নিজের মত করে বানিয়ে বলছি না বলছি তো নাকি - জানতে আপত্তি কেন এত তোমার এত ঠুনকো কেন তোমার অনুভুতি অতি অল্প হাওয়ায় নড়ে ওঠে খুঁটি। আমাকে থামিয়ে দিতে চাই -থামবো না আমি - কেন থামবো - উদ্দেশ্য কি তোমার? বন্দী জীবন -গন্ডির মধ্যে বিচরন! বিশ্ব দরবারে তাকিয়ে দেখ - সুখী কে নিজেকে প্রস্ফুটিত করতে ব্যাস্ত কে কোন পথে হাঁটছ তুমি? জীবন মুখী চিন্তা কি করো আমাকে কেন থামাতে চাও -উদ্দেশ্য কি তোমার সুবিধা গ্রহন- ক্ষমতার লোভ -নিয়ন্ত্রন! গতকাল বেয়নেট দ্যাখাবে বলেছিল রাইফেল হাতে-কাঁধে তরবারী নিয়ে অপেক্ষা করেছে দুর থেকে কতোক্ষন দেখেছি - নির্বোধ পার্থক্য বোঝেনা পেছনে কতোগুলো মস্তিষ্কহীন প্রাণী - হুকুমের গোলাম - গো-গ্রাসে গিলছে হুকুম। আমাকেও প্রভু মনে করে।

চৌকস ।। বিশ্বাস

ওরা চৌকস ওরা দুরন্ত জয়ের নেষার মত্ত ওরা গড়তে বিভব অনিন্দ ভাঙতে শেকল বদ্ধ ঘরে দ্বার খুলে দাও ওদের তরে। ওরা চৌকস ওরা দুরন্ত সকল বাধা ছিন্ন করে হাসতে হাঁসি জয়ের তরে চিত্ত ওদের বাহুর পরে নেষায় পেয়েছে হৃদয় জুড়ে ভাঙবে শেকল বদ্ধ ঘরে। ওরা চৌকস ওরা দুরন্ত জালাতে আলো পরের তরে ক্ষুদ্র তব নিজের ঘরে আগুন জালাও বুকের পরে হানবে আঘাত বন্ধ দ্বারে।

এত এত তারপর ।। বিশ্বাস

তারপর-- তারপর সারাটা বিকেল গড়িয়ে গেল তারপর দীর্ঘ আড়াই মিনিট চুম্বন শেষে তারপর ধানক্ষেত কলের ঘর তারপর নগ্ন বদন - আঁকিবুকির লীলাখেলা তারপর আঁচল পেতে বসেছিলে তারপর একটা উপাধি -বেশ্যা তারপর আত্নহননের ব্যর্থ চেষ্টা তারপর নিরুদ্দেশ যাত্রা তারপর একজন জালাল তারপর আরেকটা বিকেল লম্পট্যে তারপর লোকালয় থেকে লোকালয়ে বয়ে চলল ধারা তারপর -- এভাবে আর কত তারপর হলে তুমি ক্ষান্ত হবে এভাবে আর কত তারপর হলে নড়েচড়ে উঠবে তারপর নতুন সুর্য ভোরের আলো আর কত তারপর হলে জাগবে তুমি!

কলম ।। বিশ্বাস

একটা কলম একটা সাদা পৃষ্ঠা - কয়েকটা শব্দ বহুক্কাল যাবৎ হারতে হয়েছে হেরেও জিতে গ্যাছে সক্রেটিস - একটা কলম প্লেটো - কলম এরিস্টটল - কলম আর্কিমিডিস - কলম নিউটন - কলম আইনস্টাইন - কলম হকিংস - কলম রবীন্দ্রনাথ - কলম নজরুল - কলম আজাদ - কলম কবি - কলম এমন শত শত কলম পৃথিবীর বুকে অথচ বর্তমানের কাছে হার আছে তবু সময় কি ভুলে গেছে? মনে রেখেছে, রাখবেও নিশ্চয়।

বীজ ।। বিশ্বাস

নিন্দিত অনিন্দিতার নন্দিত আবাসভূমে একটা গাছ লাগাবো আমি একটা বটগাছ - ছাতার ন্যায় চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে যার ডালপালা বাদুড়ের সমাগমে গুনঞ্জন মুখর ছলাকলা। একটা বীজ চাই আমার - মনুষত্ব্য ঝড় বাদল জ্বলোচ্ছাস এমন কি কনকনে শীতেও আঁকড়ে বাঁচব যার প্রসারিত হাত। একটা চারা গাছ চাই আমার - তিলে তিলে হয়ে উঠবে জরাগ্রস্থ ধরনীর রক্ষা-কবজ দূষনহীন অক্সিজেন ছড়াবে বাতাসে গড়ে তুলবে শ্রান্ত পরিশুদ্ধ মগজ ।

যাযাবর ছাব্বিশ ।। বিশ্বাস

বাজার দর বেশ ভালই - সীজন চলছে এখানে - এই ভদ্র পল্লীতে সমাগম মুখর খদ্দের পদচারনায় - অলিতে গলিতে । এই শহরে আমি এক যাযাবর ঘরহীনা - আমাকে ঘিরেই নাকি তোমার যত সমস্যা কেন? আমি তোমার মত ভন্ড পথে চলি না - তোমার মত ভন্ড কথা বলিনা - তাই। তবে জেনে রাখো - এই শহরে আমি অন্য কিছু করতে এসেছি এই শহরে আমি একজনের স্বপ্ন পুরনে এসেছি।  একধাপ এগোতে দুই ধাপ পিছিয়ে পড়ি স্বপ্নের পিছু নিতে ক্লান্ত ভীষন পেট পুজারী তবু কি হেরে যাবে নব জীবনের কান্ডারী তুচ্ছ হই বার বার যত বিবেকের খুঁটি নাড়ি। চোখে দ্যাখে এক আর কানে শোনে অন্য শোনা কথায় সঠিক ভেবে সবাই এখন ধন্য গাল গল্প এই সমাজে হয়েছে নিত্য পন্য সত্য সঠিক তাই আজকাল বিভ্রান্ত বলে গন্য। ছাব্বিশ সংকটে জরাজীর্ন মস্তিষ্ক একাকীত্বে পরিপুর্ন নিজের কাছে নিজেই অপদার্থ বলে গন্য আর তোমরা মিথ্যা আশার প্রলাপ নিয়ে ধন্য।

রেখে যাও ।। বিশ্বাস

তুমি কি বরাবরের মত অপেক্ষমান রয়ে যাবে? তুমি কি পৃথিবীর বুক থেকে চিরতরে হারায়ে যেতে চাবে? অনেক প্রতিকূলতার মাঝে টিকে থাকায় ব্যস্ত তোমার প্রাণ হারিয়ে যেতে যেতে যদি পারো রেখে যাও অবদান আড়ম্বর পৃথিবীর চরাচরে - কেউ স্মৃতিচারন না করুক নিশানা তোমার ঠিকই রবে - এমন কেউ নেই যে মুছে দিতে পারে কোন একদিন হয়ত হয়ে উঠবে অম্লান যদি পারো রেখে যাও অবদান - মানুষের তরে।

বিষাদ ।। বিশ্বাস

তুমি কি আমার পাশে এসে বসবে দুটো মিষ্টি মিষ্টি কথা বলবে - বিষাদও বলতে পারো - ঢলে ঢলে গোলতে পারো। সিগারেটটা উল্টো দিকে ধরিয়ে ফেলেছি অযথা কটা টাকা নষ্ট হয়ে গেল তুমি থাকলে কত কথার মাঝে ঠিক করে দিতে নিশ্চয়। আমি বিষাদ লিখি - বেদনার গান গেয়ে যাই এবেলা ওবেলা হৃদয় জুড়ে বসত করে সে - চরন ভূমে বিচরন তার - খেলে যাই মন এ কোন খেলা।

প্রতিচ্ছবি ।। বিশ্বাস

সমস্ত বিভ্রান্ত পথ - হারিয়ে খুজবে মনোরথ - একদিন হয়ত অজানা শব্দটা হারিয়ে যেতে চাবে কোন এক অজানা কারনে অজানা গন্তব্যে - অজানা চেতনা- পাড়ি জমাবে মন মন্দিরে - ভিড় ঠেলে দেখবে এখানে বিশ্বাসের ঠাঁই নেই পুরোনো কে আকড়ে ধরে রাখতে নেই। অবিশ্বাস - সে তো মূল্যহীন এখানে, অসম্ভব। ব্যাস্ত নগর জীবন - সচরাচর ঘড়ির কাঁটা টিক টিক শব্দে ঘুরছে পার করতে সহস্র কোটি বছর। তবু কি ভুলে যাবে - জেতে হয় জানি তবু কি ফিরে দেখবে- ফিরবে না জানি তবু ভালবাসতে শিখবে মাতাল প্রেমিক।

তোমাতে বিভোর ।। বিশ্বাস

দ্যাখা না দিলেই পারতে দ্যাখা দিয়ে কোথায় হারিয়ে গেলে তুমি অজস্রবার ভেবেছি - অজস্রবার তোমার প্রেমে পড়েছি - অজস্রবার চেয়েছি - দেখবোনা ওরম ফ্যালফ্যাল চোখের দৃষ্টিতে ভিজবোনা দেবীময়ী ও চোখের বৃষ্টিতে।  তবু কি পারি! বসে আছি প্রতীক্ষায় - এ যেন ফুরাবার নয় রাতের আকাশে চোখ মেলেছি আমি একা- শরীর জুড়ে কম্পন - চারিদিকটা একদম ফাঁকা জোছনা জুড়ে লেগে আছে মোহ - চাঁদের গায়ে তোমার জলছবি আঁকা। এত কিছুর মাঝেও কয়েকটা শব্দে বিচরন তুমি -তুমি তুমিতুমি করে এই মন জানি নাতো কবে-কোথায়-কিভাবে-হবে তোমার সাথে আমার আলাপন। তোমাতেই বিভোর -সন্ধ্যা গড়িয়ে ভোর।