Posts

Showing posts from April, 2017

আমি ভাল নেই ।। বিশ্বাস

কাছে এসে না দেখলে বুঝবে না কতটা যন্ত্রনায় অতিবাহিত হয় আমার বেলা চারিদিকে দেখি একে অন্যের অবহেলা দুঃখগুলো ভুলে যাওয়ার চেষ্টায় আছি তুমি কাছে এলে একটু বাঁচি। কত কথা নিজের মধ্যেই থেকে যাই কত বিপথ পথের দিশায় হারিয়ে যাই নিয়মের গন্ডি পেরোতে কতবার পা পিছলাই কতবার দীর্ঘশ্বাস বুকে নিয়ে নির্ঘুম জেগে কাটাই। আজোও কাটে আমার বন্দী জীবন বাঁচবো কবে মনের মতন কবে তুমি বুঝবে এই আমাকে কাছে এসে বসবে পাশে ভালবেসে। ভালবাসার রং চেনাতে করো আজও ভীষন রকম পাগলামি তোমার চেয়ে এই পাথারে কে আছে আর দামি কাছে আসলে পরে জানবে - কেমন আছি আমি!

দাওয়াত তোমাকে রাই ।। বিশ্বাস

আলোহীনতায় বসবাস - আমাকে মুঠো ভর্তি আলো দেবে রাই অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছি বারংবার - অগোছালো জীবনে আলো হতে পারো অথবা অন্ধকার ঘিরে মোম জালাবে দাওয়াত রইলো এসো একবার ।  উসখুসে বদন আমার - তেল সাবান লাগেনা খুব বেশি ক্ষুধার্ত পেট আমার - দেবে কিছু শুকনো লঙ্কা-পেঁয়াজ-রসুন সৃজন বিলের খালের কিছু টাকি মাছ পুঁটি-শিং-মলা-ঢেলা হলেও চলবে - অথবা জেলের হাতের টাটকা নদীর মাছ। রাঁধতে তেমন একটা ভাল পারিনা তবু না হয় এসো একদিন - দাওয়াত রইল সঙ্গে কিন্তু নিয়ে এসো সব নইলে সবকিছুই ভেস্তে যাবে - পন্ড হবে এসো কিন্তু - মনের মাধুরী মিশিয়ে রেঁধে খাওয়াব তোমাকে। আটা চিনি ঘরেই রাখি তেলের পিঠা আমার ভীষন প্রিয় তুমি এলে - বানাবো দুজন মিলে দাওয়াত রইলো এসো কিন্তু।

লজ্জার বন্দী ।। বিশ্বাস

চার দেয়ালে বন্দী - আকাশ দেখা মানা- পুরুষ নামক প্রাণীগুলো সব দিচ্ছে সেথা হানা চোখের এক কোনে জল বৃষ্টিধারা হয়ে ঝরে চলেছে অবিরল কেন রে? প্রসারিত হাতে বুক ফুলিয়ে শ্বাস নিতে ইচ্ছা করেনা তোর? বলি কি - ঝুলুক তকমা লাগুক দাগ বেশ্যা যারা বলে তোকে -আসছে ওদের পৌষ-মাঘ কি! পারবিনা - ঘুঁচাতে হবে তোকেই লজ্জার বাঘ।

অজুহাত ।। বিশ্বাস

অন্ধ দর্শন বন্ধ মন রেখেছে বন্ধক ঘরের কোন তোকে দিয়ে আমার কিছুই হবেনা তুই বরং - মিথ্যা আশার প্রলাপ গোন। পুরা কির্তীর শেষে রইবে কি সধবার বেশে সম্মুখে তোর অঢেল অজুহাত খ্যালে তুই বরং - মুক্ত কর বাঁধন গুচ্ছ এলোকেশে।

খন্ড চিত্র ।। বিশ্বাস

ভন্ডমীর খন্ড চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে নোংরামীর দৃশ্যপট দেখতে গিয়ে আমি সেদিন কয়েদী বনে গিয়েছিলাম মশা মেরে মেরে কাটে রাত হতে ভোর নির্ঘুম। কোন কিছু করতে পারছিনা মন মত হৃৎপিন্ডটা থানায় জমা রেখে এসেছি গতকাল তখন থেকে আমি অন্ধ হয়ে যাচ্ছি - হারিয়ে যাচ্ছি ভিক্ষা ব্যবসার বেড়াজালে। কালে কালে বেড়ে গজিয়ে উঠেছে অনেক আগাছা কিছু আছে জীবনভর পরগাছা হয়েই বাঁচে কিছু আবার আলোহীন থাকে-বাঁচে-নাচে এরা কারনে অকারনে দাপট দেখাতে তৎপর হয়। নির্বোধের দল উদ্ভট দাবি নিয়ে হাজির আর আপনারা নীরবে সমর্থন দিয়ে চলেছেন ধ্বংশের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন কিনা বোধে কি আসেনা - আপনার আমার আমাদের সকলের।

পাঠক ।। কবি বিশ্বাস (বাপ)

কেউ কি করে জানবে বড় বেশি পাঠক প্রেমিক বরাবর আমায় - জন্মক্ষনেই ছুয়েছে হৃদয় নয়ন নন্দিত রূপ প্রচ্ছদ সমস্ত অববয় জুরে কি এক লাবন্যয়তা ছড়ায় ফুরফুরে সুগন্ধ সুবাস যা বড় বেশি কাছে টানে ওদুড়ায় পাঠক হৃদয় নির্ভয়ে নির্ভিক পথচলা বড় অসাম্প্রদায়িক নোংরামী শূন্য শব্দমালা গনতন্ত্রী এক মুক্ত কন্ঠস্বর আমি তাই বড় বেশি প্রমিক প্রবর এখন ষোড়স্বী তুমি কবে জন্মেছিলে। আটাত্তরে। চোরানব্বয়ে এসে পূর্ন যৌবনা অনন্ত যৌবনা হয়ে ধরে রাখ এ যৌবন সত ন্যায় আর গনতন্ত্রের পতাকা - উড়াতে থাক বাংলার আকাশে আজীবন অর তোমার জরায়ু থেকে বেরিয়ে আসুক শক্তশত মনিষি অনন্ত কাল- যারা পথ দেবে দিশা দিবে আগামী প্রজন্মের শিল্প সাহিত্য অর্থনীতি বিজ্ঞান দর্শন রাজনীতির নেতৃত্ব দিয়ে সুখ তাসে সুস্থ স্বাস্থ্য দেবে বাংলার। এখন যেমন আমি অনন্তকাল জুটবে পাঠক প্রেমিক সেই তুমি এই থাকো যদি।

ভুলে ভরা জীবন ।। বিশ্বাস

অভিনয় দেখতে দেখতে শিখে গেছি নাটক করে বাঁচতে জেনে গেছি এখন বুঝি! ভালবাসতে যোগ্যতা লাগে আস্থা লাগে - লাগেনা মনের চাওয়া তাই শীতল জলে গভীর তলে হয়না আর যাওয়া। যেতে পারি অকূল পাথারে হারিয়ে ফেলতে পারি নিজেকে - ভুলে ভরা জীবনের নিদ্রাগুলো দ্বীধাহীন এরা থাকার স্বত্বেও হাত পাতে খুশির খোঁজে যাচ্ছেনা সমানের পথে। ল্যাঙ মারার ধারনায় আজও বিশ্বাসী এরা আর আমি! সেতো নিতান্তই বোকা পথটা আমার আজও ভীষন ফাঁকা মনে অনেক ময়লা জমে গেছে নীরবে বোঝা হয়ে ওঠেনি - সন্ধান থামবে একদিন সেদিন আমি আর থাকবো না।