Posts

Showing posts from January, 2017

আমিই কেবল পারিনি ।। বিশ্বাস

কি করে বলি কতোটা ভালবাসি - কি করে বলি কতোটা চাই আমি তোকে মনের আড়াল হলে পরে পড়ে যাই বিপাকে। হয়ত তোর মত যন্ত্রনা কাতর যাপন করি না হয়ত তুই আধো ঘুমে বাঁচিস - আমি কেবল পারিনা। ঐ - এক বেলা আমার সম্বল কতো দিন চলে গ্যাছে অনাহারে ঐ মাত্র একটা বিস্কুট আর দূকাপ চা হলেই দিনটা মোর বেশ যায় রাতে দূপ্লেট ভাত জুটে যাই ঠিকই এ দোকানে বাকী ও দোকানে বাকী হতে হতে ওদের চোখে তাকাতে বড্ড বেশি ভয় পায়। সেদিন স্লোগান ভাগাভাগি হতে দেখে প্রতিবাদে মুখর হতে চেয়েছে অনেকে - আমিই কেবল পারিনি । দুমুঠো চাল যোগাতে যে হিমসিম খাই সেও কটা টাকা পেলে বদলে যায় বদলে যাই স্লোগান উচ্চারিত শব্দ - গুনোগান ভুলে যাই নিজের অক্ষমতা বিচারবোধের স্বাধীনতা আমিই কেবল পারিনি ভুলে যেতে।

সম্মেলন ।। বিশ্বাস

চাঁদেরহাটে মেলা বসেছে - বাহারী আলোর ঝলকানি প্রভাত হলে সব কিছু পন্ড হবে জানি তবু রাতভর নগ্ন নৃত্যে মাতাল হতে হতে একটা মুখোশের সন্ধানে কতগুলো বিচ্ছেদ ঘটে গেল । হলুদ-লাল-কালো জলরং আঁকা মুখোশ যারা পেয়েছে তারা নিজেকে প্রভাবশালী দাবি করে যারা পাইনি তারাও করে পরোয়া না করেই চলতে থাকে জীবনযাত্রা নিজের প্রয়োজনে হারিয়েও ফেলতে পারে মাত্রা।

শ্যাম বর্নের মেয়ে ।। বিশ্বাস

শ্যাম বর্নের মেয়ে গো তুমি গৌড় বর্নের রং হাওয়া উদাস বিকেলের হালকা আলোয় উঠানের নাউ গো মাঝি- পারের তরী বাওয়া। যখন অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকি হঠাৎ চেয়ে চোখ ফিরিয়ে নাও যখন বুকের ভেতর কিনা জানিনা- কোথায় যেন একটা চিনচিনে ব্যাথার অনুভব। কেউ কেউ বেচে ফিরছে মিথ্যা কলোরব কেউ আবার বসে বসে গুনে চলেছে- বন্ধ মনের অন্ধ যত জীবন্ত শব। বিদ্রোহীর প্রার্থনা অর্থবহ হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ভদ্র মহাদয় সমাজে সৈনিক কেন আসেনা কোন কাজে? তোমার উন্মাদ বিচরন বড়ই ভাল লাগে প্রশ্ন উঠেছে কে বলবে আগে সৃষ্টির বৃষ্টিতে ভিজতে গিয়ে হবেনা প্রাণ খুলে গাওয়া - ভুলে থাকা চাই তোমায় কাছে পাওয়া।

অভাগী ।। বিশ্বাস

কত শত বেদনা বিধুর কেটে যাই লগন নীরবে নিভৃতে তোমাতে থাকিবো মগন হৃদয়হীনা হয়ে - অভাগী আমি করিব যাপন বেদনা বিধুর এই শরীরী জীবন। মন পড়ে আছে অন্যখানে - শরীর তোমাকে দিলাম মনে কি আসে যাই - তোমার তো কেবল শরীর চাই পারিপার্শ্বিক চাপে সেই কবেই তো দেহখানা মোর হয়ে গেছে নিলাম। তোমার চোখে দেখেছি আমার সর্বনাশ দিন পেরিয়ে বছর পেরিয়ে মাস। এ পথেই বার বার হাঁটি পথটা আমার চেনা তবু ক্ষনে ক্ষনে অচেনা লাগে।

বাবু বলিলেন ।। বিশ্বাস

ঢপ মারা বন্ধ কর- ঘুমিয়ে ঘুমিয়েই কাটিয়ে দিতে চাও এ কেমন চাওয়া তোমার? ঢেড় হয়েছে আর কত! নিজেকে কি মনে কর হে তুমি এত ভাব চোদাও কেনো - পার্টটা একটু কম নিলে কি হয় কি মনে কর হে নিজেকে - বলি বাবু - মুক্ষসুক্ষ মানুষ আমি -কি যে কন না- আমাগো আবার ভাব থাকা চলে নাকি - হেহে হেহে। দাঁত ক্যালানো কি বন্ধ হবে না তোমার অন্ধকার কি ঘুচবে না নাকি চাওনা সভ্য হতে।

সান্ধ্যকালীন ।। বিশ্বাস

ক্ষনিক দিনের আলোকে - ক্ষুধাতুর পলকে সান্ধ্যকালীন আড্ডায় বসে চুমুক দিতে দিতে বললেন - তাকানো দেখে নিজেকে ভীষন অযোগ্য লাগে মন পড়ে থাকে অতৃপ্ততার মাঘে। অপরাধ কি আমার জানলাম না অথচ শাস্তি পেতে হবে এ কোন ধরনের কথা তাহলে কি বলব না এ আপনার স্বার্থের প্রগলভতা। কি অপরাধ আমার!! আমার রক্ত কথা বলে জোনাক হাতড়ে হাতড়ে পথ চলে। কিছুক্ষন নীরবতা। তারপর হঠাৎ উচ্চ স্বরে বলেই উঠে পড়লেন - তুমি যদি পারো - আমি কেন পারবো না তুমি যদি হারো - আমিও কি হারবো না।

অনাকাঙ্খিত অতঃপর ।। বিশ্বাস

দুর্বোধ্য! ভীষন দুর্বোধ্য - চিন্তার মৃত্যু, অযাচিত চেতনা। ঘুম ভাংবে কবে রে তোর? কবে আলোকিত করবি এই ধরিত্রী? পরাজিত গোবর গণেশ কোথাকার !  সপ্নের পিছু ছুটতে ব্যস্ত তোর পথ - কয়েকটা কাগজ পারে না আলোকবর্তিকা হতে। জীর্নতা ঝেড়ে ফ্যাল! - কি? চাস না আলোর পথের যাত্রী হতে। অতঃপর - একটি চেতনা হারিয়ে গেল সময়ের স্রোতগর্ভে আশার তরী দুলে ওঠে প্রকম্পনে অশরীরী হাত।