Posts

দৃশ্যপট

  একটা ভাঙা আয়নার প্রতিচ্ছবি মুখ লুকিয়ে খিলখিলিয়ে হাঁসে ওপারে এপারে গৌড় বর্নের হরিনী। নির্দিধায় ওদ্ধত কন্ঠে মিথ্যাচারে প্রচারক দেয়ালে দেয়ালে রঙিন পোষ্টার খেয়ালে নাচে রাজার নীতি। একরাশ মানুষের শোরগোল শুনতে শুনতে ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়ে ভিখারিনী ঘুমের ঘোরে চিৎকার করে ওঠে - কুসংস্কার চারিদিকে এত এত কুসংস্কার  ।

দূর্বৃত্তের হাতে চিঠি

প্রিয়তমা তোমার গায়ের রংটা না আমাকে পাগল করে দেয় এত সুন্দর রং আমি আগে দেখিনি তোমার চোয়ালের দিকে তাকিয়েই পাগল হয়েছি আমার ভেতরের বোধদয় হারিয়ে গেছে তোমার ওই নাকের ডগার ঘাম বিন্দু আমাকে ভীষণ মুগ্ধ করেছে। তোমাকে একটু ছুঁয়ে দেখবো ভেবেছিলাম একটু পাশাপাশি হাঁটতে চেয়েছিলাম ভালবাসতে চেয়েছিলাম মনের মত করে চেয়েছিলাম থাকবো চিরকাল হাতে হাত ধরে। তুমি আমার রানী জীবনে বেঁচে থাকার জল অথবা পানি।

নিয়ন আলোর শহরে

সন্ধ্যা গড়িয়ে ভোর ভাবনা কেবল তোর নিষ্প্রান নগরীতে জোনাকীর আলোয় অথবা ল্যাম্পপোষ্টের সাদা আলোয় কিংবা নিয়ন আলোর শহরে আমি বড় একা। মিটি মিটি আলোর ভিড়ে - সপ্ন তিথির তীরে বারবার হারিয়ে ফেলি নিজেকে কেননা লক্ষ্য কেবল তোমায় দেখা পাশাপাশি বসে কিছু কথা হতে পারে কোন এক অমানিশার জঙ্গলে কিংবা স্বপ্ন তিথির মঙ্গলে। এই সমাজের নিয়ম নীতি থেকে বেরিয়ে নতুন করে নতুন রুপে গড়তে নীতিমালা তোমার আমার প্রেম খেলা। আমি গভীর থেকে আরও গভীরে যেতে চাই শরীর সমুদ্রে নিজেকে হারিয়ে ফেলতে চাই লবন শরীরে ডুব দিতে চাই কেবল তোমার।

হারতে যে জানে না

কখনও কখনও তোমার স্বপ্ন থমকে যাবে মনে হবে হেরে গেছি নিজের কাছে হেরে গেছি জগত সংসারে অদ্ভুত আচরণের কাছে মনে রেখ হারতে যে জানে না - সে আসলে কখনও জিততে শেখেনি । কখনও মনে হতে পারে জীবন অর্থহীন পরাজয়ের গ্লানি মাথাই চেপে বসেছে সবকিছুই তুচ্ছ মনে হতে পারে সময়ে অসময়ে মনে রেখ হারতে যে জানে না - সে আসলে কখনও জিততে শেখেনি । নিয়মের কণ্টক পরাতে সদা উদগ্রীব গোষ্ঠী জুড়ে সেঁকলে বদ্ধ রাখতে তিব্র ঝড়ে ঝাঁপটা হাওয়া বয়ে আসতে পারে ঘরে মনে রেখ হারতে যে জানে না - সে আসলে কখনও জিততে শেখেনি ।

আমি যা কিছু বলতে এসেছি

আমি আমার কথা বলতে এসেছি আমি কবিতার কথা বলতে এসেছি আমি সুর তাল ছন্দের কথা বলতে এসেছি গানে গানে জীবন রাঙাতে এসেছি আমার শব্দগুলো ছন্দের দন্দ ভাঙাতে আমার যত অভিনয় তোমার মান ভাঙাতে নতুন রুপে ধরণীর মলাট রাঙাতে ভালবাসার রংগুলিকে নানা রঙ্গে সাজাতে ।  চাইলে বদলে ফেলতে পারি নিজেকে স্বর্ণালি রোদে পাড়ি দিতে পারি সহস্র ধাপে অতীত আমাকে বারবার টেনে ধরে মনে করিয়ে দেই বেড়ে ওঠার গল্পগুলো কি জানি তাই বুঝি হইতও সাহস হারিয়ে ফেলি ভুল পথে - ভুল রথে পা ফেলি গুঁটি গুঁটি ধাপ ফেলে এগিয়ে চলি । জীবনের এই রথযাত্রাই ভীষণ একা আমি পথের শেষ কোথাই জানা হইনি আমার জানিনা আজও কি করে থামি তোমার অপেক্ষার বেলা যে বড়ই দামি তাই হইতও আজও অথই পাথারে নামি ।

জাতি হিসাব সঙ্কর

সঙ্কর জাতির বিধানে একে বিশ্বাস বাকিরা এখানে প্রতিনিয়ত পাই আশ্বাস বদলাই না মতান্তরের হীনমন্যতা নিজেকে মানুষ বলা ভীষণ দায় এখানে নিরপেক্ষতার কথা বলে পক্ষপাতিত্ত চলে রঙের নাচনে গাজন বাজে আজকে এই রঙ গায়ে লাগালে অমুক তো কালকে অন্য লাগালে তমুক এই রঙ হলে এটা খাওয়া যাবেনা ওই রঙ হলে ওটা না অসাম্প্রদায়িক চেতনাই জন্ম যে মাটির আজকে এখানে নিত্য সাম্প্রদায়িকতা চলে নিত্য বিভেদের চাষাবাদ চলে আজকে অমুকবাদ তো কালকে তমুক অদ্ভূত সব ধারনা নিয়ে কলঙ্ক রটে ভ্রান্ত ধারনার পিছু ছোটে উদ্ভাবনী চিন্তা এখানে নগণ্য প্রেম এখানে পণ্য প্রেমের নামে ধর্মান্তরিত চলে নিজের মতামত অন্নের উপর চাপাতে বলে ।

অবান্তর কথা

অবান্তর কথার ছড়াছড়ি মিছে আশাই জীবন গড়ি এই যখন ধারা ধরনীর বুকে হতাশাই জীবন যখন বিপন্ন যখন প্রয়োজন ফুরিয়ে যাই যখন অন্তরে ক্ষতগুলো চির ধরে অপ্রয়োজনীয় আলোচনাই যখন মত্ত সবাই যখন কথাই কথাই কাল্পনিক দোহাই প্রশ্ন করে সৃষ্টির শুরু কোথাই যখন চারিদিকে মন গড়ানো চিৎকার যখন কিছু ক্ষুধার্তের হাহাকার দেখি যখন বিক্রিত মস্তিস্কের নোংরামি চলে যখন দেখি আজও সাদা কালোর দন্দ চলে প্রতিনিয়ত প্রত্যেকে মিথ্যা বলে তখন নিজেকে হারিয়ে ফেলি তখন আমি আর তোমাদের মত নই আমি আমার মত করে বাঁচি একাকীত্তে একা একা উদ্ভ্রান্তের মত হাঁটি সঙ্গিহীন ঘুরে ফিরি অলিগলি । জংধরা এই শহরটাকে শহরের বিপন্ন মানুষ গুলোকে নোংরা আবর্জনার পাশে পড়ে থাকা শিশুটিকে খেটে খাওয়া মানুষগুলোকে এখানে কেউ ভালবাসেনা ।