এলেম কইসর বিশ্বাসের বাংলা কবিতা

কখনও কখনও তোমার স্বপ্ন থমকে যাবে মনে হবে হেরে গেছি নিজের কাছে হেরে গেছি জগত সংসারে অদ্ভুত আচরণের কাছে মনে রেখ হারতে যে জানে না - সে আসলে কখনও জিততে শেখেনি । কখনও মনে হতে পারে জীবন অর্থহীন পরাজয়ের গ্লানি মাথাই চেপে বসেছে সবকিছুই তুচ্ছ মনে হতে পারে সময়ে অসময়ে মনে রেখ হারতে যে জানে না - সে আসলে কখনও জিততে শেখেনি । নিয়মের কণ্টক পরাতে সদা উদগ্রীব গোষ্ঠী জুড়ে সেঁকলে বদ্ধ রাখতে তিব্র ঝড়ে ঝাঁপটা হাওয়া বয়ে আসতে পারে ঘরে মনে রেখ হারতে যে জানে না - সে আসলে কখনও জিততে শেখেনি ।

আমি আমার কথা বলতে এসেছি আমি কবিতার কথা বলতে এসেছি আমি সুর তাল ছন্দের কথা বলতে এসেছি গানে গানে জীবন রাঙাতে এসেছি আমার শব্দগুলো ছন্দের দন্দ ভাঙাতে আমার যত অভিনয় তোমার মান ভাঙাতে নতুন রুপে ধরণীর মলাট রাঙাতে ভালবাসার রংগুলিকে নানা রঙ্গে সাজাতে ।  চাইলে বদলে ফেলতে পারি নিজেকে স্বর্ণালি রোদে পাড়ি দিতে পারি সহস্র ধাপে অতীত আমাকে বারবার টেনে ধরে মনে করিয়ে দেই বেড়ে ওঠার গল্পগুলো কি জানি তাই বুঝি হইতও সাহস হারিয়ে ফেলি ভুল পথে - ভুল রথে পা ফেলি গুঁটি গুঁটি ধাপ ফেলে এগিয়ে চলি । জীবনের এই রথযাত্রাই ভীষণ একা আমি পথের শেষ কোথাই জানা হইনি আমার জানিনা আজও কি করে থামি তোমার অপেক্ষার বেলা যে বড়ই দামি তাই হইতও আজও অথই পাথারে নামি ।

সঙ্কর জাতির বিধানে একে বিশ্বাস বাকিরা এখানে প্রতিনিয়ত পাই আশ্বাস বদলাই না মতান্তরের হীনমন্যতা নিজেকে মানুষ বলা ভীষণ দায় এখানে নিরপেক্ষতার কথা বলে পক্ষপাতিত্ত চলে রঙের নাচনে গাজন বাজে আজকে এই রঙ গায়ে লাগালে অমুক তো কালকে অন্য লাগালে তমুক এই রঙ হলে এটা খাওয়া যাবেনা ওই রঙ হলে ওটা না অসাম্প্রদায়িক চেতনাই জন্ম যে মাটির আজকে এখানে নিত্য সাম্প্রদায়িকতা চলে নিত্য বিভেদের চাষাবাদ চলে আজকে অমুকবাদ তো কালকে তমুক অদ্ভূত সব ধারনা নিয়ে কলঙ্ক রটে ভ্রান্ত ধারনার পিছু ছোটে উদ্ভাবনী চিন্তা এখানে নগণ্য প্রেম এখানে পণ্য প্রেমের নামে ধর্মান্তরিত চলে নিজের মতামত অন্নের উপর চাপাতে বলে ।